ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েও কেন ডেন্টালে পড়বেন না অর্থী ঘোষ?

ডক্টর টিভি রিপোর্ট
2023-05-07 02:31:24
ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েও কেন ডেন্টালে পড়বেন না অর্থী ঘোষ?

অর্থী ঘোষ

ডেন্টালে ভর্তি পরীক্ষায় জাতীয় মেধা তালিকায় প্রথম হওয়া অর্থী ঘোষ ডেন্টালে ভর্তি হবেন না। 
শনিবার (৬ মে) রাতে সাংবাদিকদের তিনি নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন।

সরকারি-বেসরকারি ডেন্টাল কলেজের (বিডিএস) ২০২২-২৩ সেশনের প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় প্রথম হওয়া অর্থী ঘোষ জানান, এ বছর ডেন্টালে ভর্তি পরীক্ষা দিলেও এর আগে তিনি এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় জাতীয় মেধা তালিকায় ১১৬তম হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছেন।  

জাতীয় মেধায় কেন প্রথম হয়েও ডেন্টালে ভর্তি হবেন না-এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থী ঘোষ বলেন, আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজে ইতোমধ্যেই ভর্তি আছি। আমার আপাতত পরিকল্পনা, সেখানেই থাকব। ডেন্টালে ভর্তি হওয়ার বিষয়ে আপাতত ভাবছি না। কারণ, আমি যদি এমবিবিএস পড়ি তাহলে যে কোনো ধরনেরই চিকিৎসক আমি হতে পারব। আর যদি ডেন্টালে ভর্তি হই, আমি শুধুমাত্র ডেন্টিস্ট হতে পারব। চাইলে আমি কোনো অপশন পছন্দ করতে পারব না। এক্ষেত্রে এমবিবিএস করলে আমার একটা স্বাধীনতা থাকবে। যেকোনো বিষয়ে ডিগ্রি নিয়ে বিশেষজ্ঞ হতে পারব।


ডেন্টালে ভর্তি না হলে কেন ভর্তি পরীক্ষা দিলেন- এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থী ঘোষ বলেন, সবাই পরীক্ষা দেয়, আমিও একটু দিলাম। এতে করে নিজের অবস্থানটা যাচাই করলাম।


তিনি বলেন, ৩৭ হাজারের অধিক শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে সারাদেশে জাতীয় মেধায় প্রথম হওয়া আমার জন্য অনেক বড় একটা অর্জন। আমি কখনো ভাবতেও পারিনি ভর্তি পরীক্ষায় আমি প্রথম হবো।


অর্থী ঘোষ বলেন, প্রথমেই সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই, কারণ তার কারণেই এমন একটি ফলাফল আমি আনতে পেরেছি। তারপর আমার মা-বাবা ও পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞ, একই সঙ্গে আমার শিক্ষকদেরও এই অর্জনের অংশীদার মনে করি।


সাফল্যের নেপথ্যের কারণ জানতে চাইলে অর্থী বলেন, স্টুডেন্ট লাইফের প্রথম থেকে আমি নিয়মিত পড়াশোনা করতাম। পড়াশোনায় রেগুলারিটি মেইনটেইন করতাম। বিশেষ করে পরীক্ষাগুলো কখনই মিস করতাম না। বরং নিজ উদ্যোগেও বাসায় পরীক্ষা দিতাম। আমি মনে করি যে কোনো শিক্ষার্থীকে নিয়মিত ও মনযোগী পড়াশোনা সেরা বানিয়ে দিতে পারে।


চিকিৎসা পেশায় কেন আসতে চান- এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থী বলেন, আমার দৃষ্টিতে চিকিৎসা পেশা একটি মহান পেশা। এই পেশার মাধ্যমে মানুষের সেবা করার অনেক সুযোগ। একজন রোগী যখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে এসে পৌঁছায়, তখন একমাত্র চিকিৎসকই পারেন তাকে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে। এই বিষয়টি আমার কাছে দারুণ লাগে। এসব কারণেই আমি ছোটবেলা থেকে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম।


আরও দেখুন: