ভর্তি পরীক্ষায় পাস করা সবাই মেডিকেলে ভর্তির যোগ্যতা রাখে : বিপিএমসিএ
ভর্তি পরীক্ষায় পাস করা সবাই মেডিকেলে ভর্তির যোগ্যতা রাখে : বিপিএমসিএ
মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় ৪৯ হাজার ১৯৪ জন পাস করার অর্থ হচ্ছে তারা সবাই সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা রাখে। এটা তাদের আইনগত ও মৌলিক অধিকার। এই যুক্তিতে ভর্তি পরীক্ষায় পাস করা সবাইকে এমবিবিএস ভর্তির সুযোগ দিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর সংগঠন বিপিএমসিএ।
গত ২৩ মার্চ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মেধা তালিকার ৩৪ হাজার ৮৩৫ জনকে বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির আবেদনের সুযোগ রেখে বিজ্ঞপ্তি দেয়ার প্রেক্ষিতে এই চিঠি দিয়েছে বিপিএমসিএ। উল্লেখ্য, আগের নিয়মে পাস করা সবাই মেডিকেল ভর্তির আবেদন করতে পারতেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করে ২৩ মার্চ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে চিঠি দেয় বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ)।
চিঠিতে বিপিএমসিএ বলেছে, ১০/১২ বছরের চলমান নিয়ম পরিবর্তন হলে বেসরকারি মেডিকেলের অনেক আসন ফাঁকা থাকবে। এরফলে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ দেশের বাইরে চলে যেতে পারে।
পাস করার পরেও হঠাৎ করে একটি অংশকে ভর্তির আবেদন করার সুযোগ না দেওয়ায় আইনি জটিলতার সম্ভবনা রয়েছে বলেও ওই সংগঠনের পক্ষে বলা হয়।
এছাড়া বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রেও আগের মত জিপি ৩.৫ (প্রতি বিষয়ে গ্রেড পয়েন্ট) করার দাবি জানিয়েছে বিপিএমসিএ।
তাদের মতে, বিদেশি শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে জীববিজ্ঞান বিষয়ে জিপি ৪ (প্রতি বিষয়ে গ্রেড পয়েন্ট) নির্ধারণ করায় অনেকেই এদেশে পড়তে আসবে না।
মেডিকেলের বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বছরে প্রায় ২০০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়ে থাকে উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়েছে, আগের মত সাড়ে ৩ জিপি বহাল না করা হলে সরকার এ রাজস্ব হারাবে।
এ বছর ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮১৩ জন শিক্ষার্থী মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়। পাস করেন ৪৯ হাজার ১৯৪ জন। গত ১২ মার্চ স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী মেধাক্রম অনুযায়ী ৪ হাজার ৩৫০ জন সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাবে।
পরে গত বৃহস্পতিবার অধিদপ্তরের আরেক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রস্তুত করা মেধা তালিকার ৩৪ হাজার ৮৩৫ জন শিক্ষার্থী বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির আবেদন করতে পারবে।
এ হিসেবে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন ৩৯ হাজার ১৮৫ জন।