টানা ৪র্থ দিনের মতো নাইটিংগেল মেডিকেল শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
টানা ৪র্থ দিনের মতো নাইটিংগেল মেডিকেল শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
মাইগ্রেশনের দাবিতে টানা চতুর্থ দিনের মতো মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছেন ঢাকার নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২৮ নভেম্বর) সকাল থেকে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘২০১৭-১৮ সেশনে হইকোর্টের কিছু কাগজপত্র দেখিয়ে এবং ভর্তি হওয়ার তিন মাসের ভেতর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন এনে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে আমাদের ভর্তি নেয় কলেজটি। কিন্তু ভর্তি হওয়ার পর তারা আমাদের নানাভাবে মিথ্যা আশ্বাস ও হুমকি দিতে থাকেন।’
‘২০১৯ সালের মে মাসে প্রথম প্রফেশনাল পরীক্ষার মাত্র দুইদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শর্তসাপেক্ষে আমাদের স্টুডেন্ট রেজিস্ট্রেশন দেয়। স্টুডেন্ট রেজিস্ট্রেশন পাওয়ার পরে নাইটিংগেল কর্তৃপক্ষ নানাপ্রকার দুর্নীতি ও অনিয়মের বেড়াজালে জড়িয়ে পড়ে। ফলে হাসপাতালের অবস্থা দিন দিন অবনতি হতে থাকে।’
এর আগে একাধিক মানববন্ধনে তারা নানা অধিযোগ তুলে বলেন, ‘এই মেডিকেল কলেজের কর্তৃপক্ষ আমাদের মিথ্যা আশ্বাস এবং আদালতের কিছু কাগজপত্র দেখিয়ে ভর্তি করে আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। আমরা স্বাস্থ্য শিক্ষা থেকে পিছিয়ে পড়ছি এবং চূড়ান্ত পেশাগত পরীক্ষার পর আমরা কিভাবে ইন্টার্নশিপ করবো তা বোধগম্য নয়।
বর্তমান পরিস্থিতে আমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এই মেডিকেল কলেজে থেকে স্বাস্থ্য শিক্ষা সম্পর্কিত পরিপূর্ণ জ্ঞান অর্জন আদৌ সম্ভব নয়, বিধায় আমাদের সকল শিক্ষার্থীদের অন্যত্র মাইগ্রেশনের ব্যবস্থা করার দাবি জানাচ্ছি।’
কলেজে শিক্ষার পরিবেশ নেই জানিয়েছে তারা বলেন, ‘বর্তমানে চতুর্থ বর্ষে স্থায়ী কোনো শিক্ষক নেই। গেস্ট শিক্ষক দিয়ে আমাদের পাঠদান করানো হত। তৃতীয় বর্ষে কোনো শিক্ষক নেই। এই মেডিকেলে ল্যাব পুরোপুরি খালি অবস্থায় রয়েছে, কোনো ইকুয়েপমেন্ট নেই। দ্বিতীয় প্রফে ফরেনসিক মেডিসিন পরীক্ষায় পয়জনের বোতলে পানি নিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল।’
হাসাতালের বেহার অবস্থা তুলে ধরে তারা বলেন, হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও সুযোগ সুবিধা না থাকার কারণে এটি রোগীশূন্য হাসপাতালে পরিণত হয়েছে। এখানে সপ্তাহে একজন বা দুইজন রোগী ভর্তি হয়। আমরা বারবার বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন এনে দেওয়ার কথা বললে কর্তৃপক্ষ আমাদের নানাভাবে হুমকি দিতে থাকে। তারা একের পর এক তারিখ পেছাতে থাকে।
বিএমডিসি নিজে থেকে পরিদর্শনে আসার জন্য দুইবার চিঠি পাঠানোর পরও কর্তৃপক্ষ তাদের চিঠি গ্রহণ করেনি। নাইটিংগেল কর্তৃপক্ষ কখনও চায়নি বিএমডিসি কর্তৃপক্ষ ইনভেস্টিগেশনে আসুক। কারণ তারা জানে, বিএমডিসি ইনভেস্টিগেশনে আসলে তারা কখনো অনুমোদন পাবে না। এ রোগীশূন্য হাসপাতালে আমরা স্টুডেন্টরা কী শিক্ষা গ্রহণ করবো, তা আমাদের বোধগম্য নয়।