রোগ প্রতিরোধ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আমড়া
রোগ প্রতিরোধ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আমড়া (ইনসেটে ডায়েটিশিয়ান নাঈমা রুবী)
শরৎকালের একটি সহজলভ্য এবং পছন্দের ফল হলো আমড়া।
অনেকেই এই ফলটি কাঁচা, রান্নায় বা আচার করে খেতে পছন্দ করেন। আগে যদিও এটি হালি হিসেবে বিক্রয় হতো,এখন সেটি কেজি হিসেবে পাওয়া যায়। প্রতিটি দেশী আমড়ার ওজন ৬০ গ্রাম এবং হাইব্রিড আমড়ার ওজন ১০০-১২০ গ্রাম এর মত। সেক্ষেত্রে এক কেজিতে বেশ কয়েকটা আমড়া পাওয়া যায়।
প্রতি ১০০ গ্রাম আমড়ায়:
* ৫১ কিলোক্যালরী,
*৮.৯ গ্রাম শর্করা,
*৮৬.৭ গ্রাম পানি,
*১.১ গ্রাম আমিষ,
*০.৮ গ্রাম চর্বি,
*১.৬ গ্রাম ফাইবার,
*৫৭ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম,
*২.৮ মিলিগ্রাম আয়রন,
*০.১৭ মিলিগ্রাম জিংক,
*৮১ মিলিগ্রাম ভিটামিন এ,
*১.৮ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই,
*.২৮ মিলিগ্রাম থায়ামিন,
*.০৪ মিলিগ্রাম রিবোফ্লাভিন এবং
* ৭৭.০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি পাওয়া যায়।
যেহেতু এই ফলটি তে অনেক পুষ্টি উপাদান আছে,তাই এর উপকারিতা বা স্বাস্থ্যরক্ষায় ভূমিকা অনেক বেশি। যেমন:
১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে,
২.যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে,
৩. অরূচী দূর করে,
৪. ওজন নিয়ন্ত্রণ এ ভূমিকা রাখে,
৫. হৃদরোগ এর প্রতিকার ও প্রতিরোধে উপকারী,
৬.ত্বক ও চুলের জন্য খুব ভাল,
৭.রক্তে কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমাতে সাহায্য করে,
৮. ঠান্ডাজনিত রোগ এ এটি খুবই ভাল,
৯. হিমোগ্লোবিন এর মাত্রা ঠিক রেখে রক্তস্বল্পতা দূর করে,
১০.হাড় এবং দাঁতের জন্য ভাল,
১১. রক্ত জমাট বাধার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে,
১২.স্কার্ভি রোগ দূর করে,
১৩.হজমে সাহায্য করে,
১৪. কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়,
১৫.কোলাজেন উৎপন্ন করতে সাহায্য করে।
আমড়ার বাকল বা খোসাও খুব পুষ্টি সমৃদ্ধ। এতে আমড়ার ভেতরের অংশের তুলনায় বেশি ভিটামিন সি ও ফাইবার আছে। তবে উত্তাপে ভিটামিন সি নষ্ট হয়ে যায়,তাই আমড়ার বা আমড়ার খোসার আচারে ভিটামিন সি টা অনেকটাই থাকে না।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমড়া গ্রহণ করতে সাবধানতা অবলম্বন করবেন,
*যাদের টক জাতীয় খাবারে এসিডিটি হয়,
*যাদের কিডনি জটিলতা আছে,
*যাদের রক্ত তরল করতে ঔষধ গ্রহণ করছেন।
লেখকঃ
নাঈমা রুবী
ডায়েটিশিয়ান, নিউরোজেন হেলথকেয়ার লিমিটেড,
ক্লিনিক্যাল ডায়েটিশিয়ান, বিটিআরএফ।