বিচ্ছিন্ন হাত জোড়া লাগিয়ে বাংলাদেশি চিকিৎসকের সাফল্য
ডা. সাজেদুর রেজা ফারুকীর নেতৃত্বে চিকিৎসক দল
একটা ছেলের হাত কাটা গেছে ধান কাটার যন্ত্রে। বাড়ি ঝিনাইদহ।
বিচ্ছিন্ন হাত। স্থানীয় হাসপাতাল থেকে ডাক্তাররা রেফার করলেন যশোরে।
রোগীর স্বজনরা জানতে পারলেন যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এরকম হাত ঠিক করার মত সার্জন নেই। তাছাড়া এর মধ্যে ১১ ঘন্টা পার হয়ে গেছে।
ঠিক ওই সময় একজন ত্রাতা হিসেবে তার চিকিৎসার জন্য হাত বাড়ালেন। ঢাকা থেকে ঘটনাটা শুনে রোগীর স্বজনদের অভয় দিলেন।
সেই চিকিৎসক আর কেউ নন তিনি ডা. সাজেদুর রেজা ফারুকী। এসোসিয়েট প্রফেসর নিটোর, অর্থপেডিক সার্জন। ভারত, ইউরোপ আমেরিকা থেকে ট্রেনিং করা।
ওরা প্লেনে করে আনল শিশুটাকে।
সন্ধ্যা ৬টায় এয়ারপোর্ট এলেও মোহাম্মদপুর আসতে লাগল রাত দশটা!
পুরো টিম আগে থেকে রেডি ছিল।
কাজ শুরু করলো টিম ফারুকী।
প্রায় ১০ ঘন্টা সময় নিয়ে অপারেশনটা হলো।
সফল অপারেশন।
শিশুটার হাত জোড়া লাগানো হলো। হাত এখন ভাল আছে।
ডা. ফারুকীর বন্ধু ডা. সাজ্জাদ মঙ্গলবার এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এসব তথ্য জানান।
ডা. সাজেদুর রেজা ফারুকীর উচ্ছ্বসিত প্রশংসায় ডা. মিশু নামের এক নারী চিকিৎসক বুধবার তার ফেসবুক কমেন্টে লিখেন, স্যারকে আমি দেখি আর অবাক হই। এই মানুষটার জীবনে যেন কাজ ছাড়া কিছুই নেই। আমরা একটু ডিউটি করে ক্লান্ত হয়ে যাই।
আর তিনি সারাদিন অপারেশন থিয়েটারে থাকেন, মাঝে মাঝে গোসলও করেন হাসপাতালের কোনো ফাঁকা কেবিনে।
পরশুদিনও তার ১৭টা OT ছিল। তিনি অসহায় রোগীদেরকে খুব অল্প খরচে অপারেশন করে দেন। স্যার তার পুরো জীবনটাই মানুষের জন্য বিলিয়ে দিচ্ছেন। তাকে আমি কখনো রাগ করে কথা বলতে দেখিনি। এমন মানুষ দেখলে শ্রদ্ধায় এমনিতেই মাথা নত হয়ে আসে।