ছোটবেলা থেকেই ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ছিল
মিশরী মুনমুন। ছবি: সংগৃহীত
এবারের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় সারা দেশের মেধা তালিকায় প্রথম হয়েছেন মিশরী মুনমুন। তার এ কৃতিত্বে পাবনাজুড়ে চলছে খুশির আমেজ। সাধারণ পরিবারের মেয়ে মুনমুনের অসাধারণ ফলাফলে ঐতিহ্যবাহী পাবনা এডওয়ার্ড কলেজকে সারা দেশে আরও একবার আলোচনায় নিয়ে এসেছে। ডক্টর টিভির একান্ত সাক্ষাৎকারে মুনমুন জানিয়েছে সে চিকিৎসক হয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে চায়।
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় সারা বাংলাদেশে প্রথম হওয়া কি স্বপ্ন ছিল নাকি এমনিতেই হয়ে গেছে?-এমন প্রশ্নের জবাবে মিশরী মুনমুন বলেন, আসলে এটা পুরোটাই আল্লাহর ইচ্ছা। আমি কখনও ভাবিনি যে, আল্লাহ আমাকে এভাবে সাহায্য করবেন। আল্লাহ চেয়েছেন এজন্য আল্লাহর রহমতে হয়ে গেছি।
তিনি বলেন, ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হবো। একজন ভালো ডাক্তার হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ছা আমার ছোটবেলা থেকেই ছিল।
সফলতার নেপথ্যে কী ছিল?- এমন প্রশ্নের জবাবে মুনমুন বলেন, আসলে আমার কোনো ক্রেডিটই নাই, সব আল্লাহর রহমত। পুরোটাই আল্লাহর অনুগ্রহ। আল্লাহর রহমতে আমার আব্বু-আম্মু যে প্রেরণা দিয়েছেন, তারা সাহস দিয়েছেন। কলেজের স্যারের যথেষ্ট শ্রম দিয়েছেন। আমাদের কলেজের সব স্যারেরাই খুব কেয়ার নিতেন আমাদের। বিশেষ করে আমাদের কলেজের প্রিন্সিপ্যাল হুমায়ুন স্যার খুবই উৎসাহ দিয়েছেন। আমাদের ক্লাসে এসে মাঝে মাঝে খোঁজখবর নিতেন। অনলাইনে ক্লাসের ব্যবস্থা করেছেন। করোনার মধ্যেও স্যারেরা আমাদের পড়াশোনার ব্যাপারে যত্ন নিয়েছেন। সব স্যারেরাই আসলে আমাদের প্রতি খুব আন্তরিক ছিলেন।
বাবা আবদুল কাইয়ুম বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর অশেষ রহমতে আমার মেয়ে সারা দেশের কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে ফার্স্ট হয়েছে। এটা আসলে গৌরবের বিষয়। আমার আসলে একটু স্বপ্ন ছিল হয়তো মেয়েটা ঢাকা মেডিকেলে চান্স পাবে, কিন্তু সারা বাংলাদেশে প্রথম হবে এটা কল্পনাও করতে পারিনি। কিন্তু সকাল বেলা থেকে মনের মধ্যে একটা বিষয় কাজ করছিল যে, হয়তো আমার মেয়ের রেজাল্ট ভালো হবে। শুনেন, সবকিছু আল্লাহর রহমত, আসলে আল্লাহর অশেষ রহমত ছাড়া কিছুই হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এজন্য কলেজের স্যারেরা অনেক উৎসাহ ও প্রেরণা দিয়েছেন, কোচিংয়ের স্যারেরাও অনেক শ্রম দিয়েছেন, তাদের সবার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা।’
প্রসঙ্গত, এবারের পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন পাবনার মিশরী মুনমুন। ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে তিনি ৮৭.২৫ নম্বর পেয়েছেন। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল মিলিয়ে তার প্রাপ্ত নম্বর ২৮৭.২৫।
মিশরী পাবনা মেডিকেল কলেজ থেকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। সুযোগ পেয়েছেন তার পছন্দের শীর্ষে থাকা ঢাকা মেডিকেল কলেজে পড়ার।
মেধাবী এই ছাত্রীর বাড়ি পাবনার সদর থানার রাধানগরে (নারায়ণপুর)। পাবনা সরকারি বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ থেকে এইচএসসি গোল্ডেন জিপিএ পেয়ে পাস করেন।