দোষী প্রমানিত হওয়ার আগেই হবিগঞ্জে চিকিৎসক গ্রেফতার
দোষী প্রমানিত হওয়ার আগেই হবিগঞ্জের গ্রেফতার হওয়া চিকিৎসক এস কে ঘোষ (ইনসেটে ডা. সুধাকর কাইরি)
দোষী প্রমানিত হওয়ার আগেই কিডনি চুরির অভিযোগে আবারও চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
হবিগঞ্জের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনী) ডা. সমর কান্তি ঘোষ কিছুদিন পূর্বে হবিগঞ্জের একটা ক্লিনিকে জনৈকা রোগীর অপারেশন করেন। আল্ট্রাসাউন্ড রিপোর্টে ফাইব্রয়েড ইউটেরাস (জরায়ুর টিউমার) আসায় অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। কিন্তু পেট কেটে দেখা যায় ওভারীর টিউমার এবং ক্যান্সারের লক্ষণ ছিল, যা সমস্ত পেটে ছড়িয়ে পড়েছিল বলে জানা যায়। রোগীর স্বজনদের সাথে আলাপ করে মূল টিউমার এবং জরায়ু কেটে ফেলা হয়। উক্ত টিউমার হিস্টোপ্যাথলজী রিপোর্ট করানোর পরামর্শ দিলেও রোগীর স্বজনরা তা করাননি। কিছুদিন সুস্থ থাকার পর বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে এবং পরবর্তীতে জটিল আকার ধারণ করলে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১২/১৩ দিন ভর্তি থাকার পর রোগী মৃত্যু বরণ করেন।
এরপর কিডনী চুরির অভিযোগে উক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় বলে জানা যায়। ডা. সমর আগাম জামিনের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেন। কিন্তু তাঁকে জামিন না দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।
আমরা চিকিৎসকরা হতাশ হয়েছি, দুঃখ পেয়েছি এবং নিজেদেরকে অরক্ষিত মনে করছি। আমাদেরকে চিকিৎসা প্রদানে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। এঘটনায় আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং বিনা তদন্তে চিকিৎসক গ্রেপ্তার বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি।
লেখকঃ
ডা. সুধাকর কাইরি
সাবেক গাইনী কনসালট্যান্ট,
মৌলভীবাজার জেলা সদর হাসপাতাল।