ভুল চিকিৎসার অভিযোগে মামলা ও চিকিৎসক গ্রেফতারের নেতিবাচক প্রভাব

অধ্যাপক ডা. মো: শাহাদাত হোসেন
2023-07-03 16:10:38
ভুল চিকিৎসার অভিযোগে মামলা ও চিকিৎসক গ্রেফতারের নেতিবাচক প্রভাব

ভুল চিকিৎসার অভিযোগে মামলা ও চিকিৎসক গ্রেফতারের নেতিবাচক প্রভাব (ইনসেটে লেখক)

সম্প্রতি দেশে তথাকথিত ভুল চিকিৎসার অভিযোগে মামলা দায়ের ও চিকিৎসক গ্রেফতার করার ফলে সঠিক চিকিৎসা সেবা প্রদানের সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাবের প্রেক্ষাপটে বেশ কয়েক বছর পূর্বে ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা: মো: শাহাদাত হোসেনের তৈরি একটি প্রতিবেদন সবার জন্য তুলে ধরা হলঃ

দেশে চিকিৎসা সেবা উন্নত হলেও অদ্যবধি একটি সঠিক স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠেনি।

এছাড়া বিগত কয়েক দশকের বেশি সময় ধরে বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানসমূহ কিছুটা অনিয়ন্ত্রিতভাবে সেবা দিয়ে আসায় এবং মিডিয়াসহ বিভিন্ন অবস্থান থেকে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরণের বিভ্রান্তিকর বক্তব্য আসায় জনমনে ক্ষোভ বাড়তে থাকে যার বহিঃপ্রকাশ ঘটে দেশ জুড়ে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসক রোগী আন্তঃসম্পর্কের অবনতির মাধ্যমে। ফলে বিভিন্ন সময় চিকিৎসক ও হাসপাতালে হামলার ঘটনা ঘটে এবং জনগণের স্বাস্থ্য সেবা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কর্মস্থলে চিকিৎসক আক্রান্ত হতে থাকে, আশংকাজনকভাবে চিকিৎসক আহত ও নিহত হওয়ার পাশাপাশি ভুল চিকিৎসার অভিযোগে চিকিৎসকদের বিনা তদন্তে গ্রেফতার করা শুরু হয়।

চিকিৎসকদের হয়রানি করতে যে আইনটির অপপ্রয়োগ হয়ঃ

ধারা ৩০৪ ক। অবহেলার ফলে মৃত্যু সংগঠন (Causing death by negligence):

১। আইনটি আমলযোগ্য অর্থাৎ পুলিশ বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার করতে পারে
২। আদালত প্রথম পর্যায়ে সমনজারি না করেই গ্রেপ্তারের পরোয়ানা দিতে পারে।
৩। তবে আইনটি জামিনযোগ্য
৪। সাজা পাঁচ বৎসর সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদন্ড বা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ড।

বর্তমান বিদ্যমান আইনে চিকিৎসকদের সুরক্ষাঃ

বাংলাদেশ দন্ডবিধি ১৮৬০ (Bangladesh Penal Code 1860) এর ধারা-৭৬ হতে ৯৫ (সাধারণ ব্যতিক্রমগুলো) তে সুষ্পষ্টভাবে চিকিৎসকদের সরল বিশ্বাসে রোগীর কল্যাণার্থে সম্পাদিত কার্য সম্পাদনের পর তাতে কোনরুপ ক্ষতি সাধিত হলে তা আইন অনুযায়ী অপরাধ হবে না এই মর্মে সুরক্ষা দেয়া হয়েছে।

ধারা ৮০। আইনানুগ কাজ সম্পাদনকালে বিপত্তি বা দুর্ঘটনা (Accident in doing a lawful act): কোন আইনানুগ কাজ আইনানুগ পদ্ধতিতে আইনানুগ উপায়ে যথোপযুক্ত সতর্কতা ও যত্নসহকারে সম্পাদন করা কালে কোন অপরাধমূলক উদ্দেশ্য বা অবগতি ছাড়া দূর্ঘটনা বা দূর্ভাগ্যক্রমে অনুষ্ঠিত কোন কিছুই অপরাধ বলে পরিগণিত হবে না।

ধারা ৮১। সম্ভাব্য ক্ষতিকারক কার্য, কিন্তু অপরাধমূলক অভিপ্রায় ছাড়া এবং অন্যবিধ ক্ষতিরোধের উদ্দেশ্যে সম্পাদিত (Act Likely to cause harm, but done without criminal intent, and to prevent other harm): কোন কাজ শুধু ক্ষতি সাধন করতে পারে এইরুপ জানা সত্ত্বেও উহা করার ফলেই অপরাধ বলে বিবেচনা করা হবেনা যদি কাজটি ক্ষতিসাধন করার জন্য কোনরুপ অপরাধমূলক উদ্দেশ্যে সম্পাদিত না হয়ে থাকে এবং উহা শরীরের বা সম্পত্তির উপর কোনরুপ ক্ষতি নিবারণ বা প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে সরল বিশ্বাসে সম্পাদিত হয়ে থাকে।

ধারা ৮৭। বিনা উদ্দেশ্যে এবং মৃত্যু বা গুরুতর আঘাত ঘটাতে পারে বলে না জেনে সম্মতিক্রমে সম্পাদিত কাজ (Act not intended and not known to be likely to cause death or grievous hurt, doer by consent): মৃত্যু ঘটাবার অথবা গুরুতর আঘাত করার উদ্দেশ্যে সম্পাদিত নয়, অথবা মৃত্যু ঘটাতে পারে বা গুরুতর আঘাত করতে পারে এইরুপ না জেনে সম্পাদিত কোন কাজ করার পর উহাতে কোন ক্ষতি হওয়ার ফলে অপরাধ হবে না; অথবা ১৮ বছরের অধিক বয়স্ক কোন ব্যক্তি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অনুরুপ কাজের ফল হতে উদ্ভুত ক্ষতি স্বীকার করার সম্মতিদানের পর, তার সম্মতি নিয়ে উক্তরুপ ক্ষতি সাধনের ইচ্ছা করে কাজটি করার পর তাতে কোনরুপ ক্ষতি হওয়ার ফলে কাজটি অপরাধ হবে না; অথবা যে ব্যক্তি কাজটি করেছে সে ব্যক্তি কাজটি করার ফলে ক্ষতি অনুষ্ঠিত হতে পারে জানা সত্ত্বেও যে ব্যক্তির ক্ষতি হতে পারে, সে ব্যক্তির ক্ষতির ঝুঁকি স্বীকারে সম্মতিক্রমে কাজটি করার পর তাতে কোনরুপ ক্ষতি হওয়ার ফলে কাজটি অপরাধ হবে না।

ধারা ৮৮। মৃত্যু ঘটানোর উদ্দেশ্য ব্যতীত, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির উপকার হবে বলে সরল বিশ্বাসে, সম্মতিক্রমে সম্পাদিত কার্য (Act not intended to cause death, done by consent in good faith for person’s benefit): যে ব্যক্তির উপকার হবে বলে আন্তরিক সদিচ্ছা বা সরল বিশ্বাস হতে কোন কাজ উক্ত ব্যক্তি কর্তৃক প্রদত্ত কার্যোদ্ভুত ক্ষতি স্বীকার বা ঝুঁকি স্বীকারমূলক সম্মতিক্রমে মৃত্যু ঘটাবার উদ্দেশ্য ছাড়া উক্ত ব্যক্তির উপকারার্থে সম্পন্ন হয়- কার্যটি সম্পাদনের পর তাতে কোনরুপ ক্ষতি সাধিত হওয়ার ফলে অথবা যিনি কাজটি সম্পন্ন করলেন, তিনি উহাতে যে ক্ষতি করার ইচ্ছা করেছিলেন, যে ক্ষতি হওয়ার ফলে অথবা যিনি কাজটি সম্পন্ন করলেন, উহাতে সম্ভাবত সে ক্ষতি হতে পারে বলে জানতেন, তা হওয়ার ফলে কাজটি অপরাধ হবেনা।

ধারা ৮৯। শিশুর বা অপ্রকৃতিস্থ ব্যক্তির উপকার হবে বলে সরল বিশ্বাসে অভিভাবক দ্বারা কৃত কার্য বা অভিভাবকের সম্মতিক্রমে সম্পাদিত কার্য (Act done in good faith for benefit of child or in same person by or by consent of guardian): বারো বছরের নিম্ন বয়স্ক কোন ব্যক্তির অথবা অপ্রকৃতিস্থ কোন ব্যক্তির উপকার করার জন্য আন্তরিক সদিচ্ছা থেকে বা সরল বিশ্বাসে উক্ত ব্যক্তির অভিভাবক দ্বারা সম্পাদিত কার্য কিংবা উক্ত ব্যক্তির অভিভাবকের বা আইনানুগভাবে উক্ত ব্যক্তি সম্পর্কে দায়িত্বসম্পন্ন অপর কারো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সম্মতিক্রমে কৃত কার্য করার ফলে কোন ক্ষতি হয়ে থাকলে সে ক্ষতির ফলে, কিংবা যিনি কাজটি করেছিলেন তিনি কাজটির ফলে যে ক্ষতি হবে বলে ইচ্ছা করেছিলেন সে ক্ষতিটি হওয়ার ফলে অথবা যিনি কার্যটি করেছিলেন তিনি কাজটি করার ফলে যে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানতেন, সে ক্ষতিটির ফলে- অপরাধ হবে না।

ধারা ৯২। কোন ব্যক্তির সম্মতি ছাড়া তার উপকার হবে বলে সরল বিশ্বাসের বশবর্তী হয়ে সম্পাদিত কাজ (Act done in good faith for benefit of a person without consent): যদি কোন ব্যক্তির উপকার করার আন্তরিক সদিচ্ছা থেকে বা সরল বিশ্বাসে উক্ত ব্যক্তির বিনা সম্মতিতে সম্পাদিত কাজের ফলে তার কোনরুপ ক্ষতি হয়, তবে উক্ত ক্ষতিটি হয়েছে বলে কার্যটি অপরাধ হবেনা- যদি কাজটি সম্পাদনকালে বাস্তব অবস্থাবলী এমন হয়ে থাকে যে, সে অবস্থায় উক্ত ব্যক্তির পক্ষে কাজটি করার সম্মতিজ্ঞাপন করা অসম্ভব ছিলো অথবা ব্যক্তি সম্মতিদানে অপারগ ছিলো এবং তার এমন কোন অভিভাবক বা তার সম্পর্কে আইনসম্মত দায়িত্বসম্পন্ন অপর কোন ব্যক্তি ছিলোনা; যার নিকট থেকে উক্ত ব্যক্তির মঙ্গলার্থে যে কাজটি করা হচ্ছে সেই কাজে যথাসময়ে সম্মতি নেয়া সম্ভব ছিল।

চিকিৎসাজনিত অবহেলা (Medical Negligence) আইনের ক্ষেত্রে ভারতের সুপ্রীম কোর্টের সাম্প্রতিক রায়–

১. চিকিৎসকদের ফৌজদারি দায় প্রসঙ্গে. ডাঃ সুরেশ গুপ্ত বনাম সরকার মামলার ক্ষেত্রে দিল্লির সুপ্রিম কোর্ট একটি সাম্প্রতিক রায়ে স্থূল চিকিৎসা অবহেলার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়েরের ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে- (As regards criminal liability of medical practitioners - Supreme Court in a recent judgment in the case of Dr. Suresh Gupta VS Govt. of Delhi curtailed criminal proceedings against medical negligence to incidents of gross negligence.)

২. একজন চিকিত্সক চিকিৎসার সময় যে কোন দূর্ঘটনা বা মৃত্যুর জন্য দণ্ডনীয় হবে না - (It held that a medical practitioner cannot be held punishable for every mishap or death during medical treatment.)

৩. একজন রোগী চিকিৎসা প্রদান জনিত ত্রুটি বা দুর্ঘটনার জন্য মারা গেলে তা ফৌজদারী অপরাধ হবে না– (No criminal liability should be attached where a patients death results from error of judgement or an accident.)

৪. অসতর্কতা বা পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা প্রদানের অভাব বা অবহেলা দেওয়ানী দায় সৃষ্টি করতে পারে কিন্তু তাকে ফৌজদারি বিধি অনুযায়ী দায়ী করা যাবে না। - (Mere Inadvertence or same degreeof want of adequate care and caution might create civil liability but would not suffice to hold him criminally liable.)

সেপ্টেম্বর ২০১৩ সালে বিএমএ সভাপতি অধ্যাপক মাহমুদ হাসান হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন যার ফলে ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ সালে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরি ও বিচারপতি জাফর আহমেদের একটি বেঞ্চ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০৪ (ক) ধারায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ আমলে নেয়া, তদন্ত এবং গ্রেফতারের ক্ষেত্রে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতামত এবং অভিযোগের তদন্তের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি কমিটি গঠন এবং চিকিৎসাধীন রোগীর মৃত্যু হলে চাহিদা অনুযায়ী চিকিৎসক ও চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠানে পুলিশি নিরাপত্তা প্রদান করতে হবে বলে রুল জারি করা হয়। আইন অনুযায়ী ক্ষতি করার অত্যাবশ্যকীয় উপাদান হচ্ছে অবৈধভাবে কোন কাজ করা। কাজটি বৈধ করা হলে তা ক্ষতি হিসেবে বিবেচনাযোগ্য নয়। চিকিৎসকের অসতর্কতা বা অবহেলার কারণে রোগীর ক্ষতি হলে তার বিরুদ্ধে দেওয়ানী আদালতে প্রতিকারের সুযোগ থাকলেও ফৌজদারী আদালতে প্রতিকার পাওয়ার কোন সুযোগ নেই। কেবল ‘অবহেলা তথা Negligence’ Penal Code – এর কোন শাস্তিযোগ্য অপরাধ নয়।

বাংলাদেশেও চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ৩০৪ (ক) ধারায় যে মামলাগুলো হয়েছিলো সেগুলোর নিষ্পত্তিকালে বাংলাদেশের আদালত উপরিউক্ত ধারা-৭৬ হতে ৯৫ এর আলোকে ভারতের সুপ্রীমকোর্টের অনুরুপ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে অনেকগুলো মামলা খারিজ করে দিয়েছেন। তবে, ভুক্তভোগী চিকিৎসকগণ প্রাথমিকভাবে নানারকম হয়রানি, পেশাগত সম্মানহানী, গ্রেফতার ও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।

এ কথা অনস্বীকার্য যে, চিকিৎসকরা অধিকতর নিরাপত্তা হুমকির মুখে পরলে বা মামলা হলে জরুরী চিকিৎসা সেবা সম্প্রসারণের পরিবর্তে সংকুচিত হবে। জনগনের চিকিৎসা ব্যয় মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পাবে। ঝুঁকি বৃদ্ধি পাওয়ায় চিকিৎসাপেশায় মেধাবীরা নিরুৎসাহিত হবে। চিকিৎসকগণ ঝুঁকি হ্রাসের জন্য দায়িত্ব এড়ানোর কৌশল করবেন, ফলে রোগীরা সময়মতো চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হবেন। এদেশ থেকে বিদেশে রোগীদের চিকিৎসা নেওয়ার সংখ্যা আশঙ্কাজনক ভাবে বেড়ে যাবে। বিগত কয়েক বছর যাবত বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাত অভাবনীয় উন্নতি করেছে, যা পরিসংখ্যান ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এবং অনেক ক্ষেত্রে পার্শবর্তী কয়েকটি দেশকেও স্বাস্থ্যসূচকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। আমরা মনে করি, বর্তমান অবস্থা চলমান থাকলে স্বাস্থ্যখাতে আমাদের অর্জনগুলো ধ্বংস হয়ে যেতে পারে এবং চিকিৎসা গ্রহণে বিদেশ নির্ভরতা বৃদ্ধি পাবে। এই সমস্যা সমাধানকল্পে নিম্নোক্ত সুপারিশসমূহ বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণ অতীব জরুরি ।

সুপারিশ সমূহঃ

১। রিট পিটিশনের মাধ্যমে বিদ্যমান আইনের (ধারা ৩০৪-ক) অপপ্রয়োগের মাধ্যমে চিকিৎসাজনিত অবহেলায় যাতে কোন ফৌজদারি মামলা গ্রহণ করা না হয় এবং গ্রেফতার করা না হয় সে বিষয়ে সুষ্পষ্ট নির্দেশনা আনয়নের জন্য আইনগত ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

২। চিকিৎসা পেশা সংক্রান্ত বা চিকিৎসা অবহেলাজনিত সকল বিষয় বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (BMDC) এর মাধ্যমে করার ব্যবস্থা গ্রহণ এবং উক্ত প্রতিষ্ঠানকে কার্যকর করা ও প্রয়োজনবোধে এই সংক্রান্ত আইনকে যুগোপযোগী করা।

৩। বেসরকারী চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত আইন (THE MEDICAL PRACTICE AND PRIVATE CLINICS AND LABORATORIES (REGULATION) ORDINANCE, 1982) যুগোপযোগী করা।

৪। সামগ্রিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় রোগী, চিকিৎসক, অন্যান্য চিকিৎসাসেবা সহায়তাকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা সুনির্দিষ্ট করা।

৫। বিভিন্ন চিকিৎসাসেবা সংক্রান্ত গাইডলাইন/ প্রটোকল তৈরি ও প্রয়োগ নিশ্চিত করা।

৬। বেসরকারী চিকিৎসাসেবা নিয়ন্ত্রনের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আলাদা ডাইরেক্টরেট প্রতিষ্ঠা করা।

৭। রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে সামগ্রিক চিকিৎসাসেবা ব্যবস্থাপনা নীতি কৌশল প্রণয়ন ও প্রয়োগের জন্য স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের অংশগ্রহন নিশ্চিত করা।

৮। গণমাধ্যম আইনে চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য প্রচার ও প্রকাশের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় বিধি প্রণয়ন করা।

৯। চিকিৎসাসেবা গ্রহীতা ও প্রদানকারী ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের সুরক্ষার জন্য আইন প্রণয়ন করা।

১০। বিদ্যমান আইনে চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান আক্রান্ত হলে ধারা ৩১৯ থেকে ৩৩৮ (ক) (আঘাত সম্পর্কিত) এবং ধারা ৩৪৯ থেকে ৩৫৮ (অপরাধমূলক বলপ্রয়োগ ও আক্রমণ সম্পর্কিত) অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া।

অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন
ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিশেষজ্ঞ। 


আরও দেখুন: