স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে
স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে (ইনসেটে লেখক: ডা. মো. তরিকুল হাসান)
জনগণকে স্বাস্থ্য সচেতনতার ক্ষেত্রে 'প্রিভেনশনে'র উপর বেশ গুরুত্বারোপ করা হয়। এটি ভালো। তবে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার সাথে জনগণকে পরিচিত করে দেয়ার ব্যাপারে তেমন কোন উদ্যোগ নেই। সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে তথ্যকেন্দ্র রয়েছে হাতেগোনা প্রতিষ্ঠানে। সেগুলো অনেকাংশে অকার্যকর। নির্দেশনামূলক সাইনবোর্ডগুলো প্রায়শই আপডেটেড না। ফলে জনগণের হয়রানি ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রতি বিরক্তি বেড়ে যায় কয়েকগুণ।
দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবার রূপরেখা স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে হবে। তাদেরকে কিছু বিপদজনক উপসর্গ ও এর প্রতিকারের জন্য কোন পর্যায়ের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কিভাবে সেবা নেবে তার বিস্তারিত উল্লেখ করতে হবে। প্রয়োজনে কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রমে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শিক্ষা সফরের ব্যবস্থা করতে হবে। এসময় তারা প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবে।
স্থানীয় মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির এসব ক্ষেত্রে খুব কার্যকরী টুলস। এগুলোকেও কাজে লাগাতে হবে। অপিনিয়ন লিডারদেরকেও কাজে লাগানো যেতে পারে। সোশাল ও মাস মিডিয়াগুলোকে এসব বিষয় পজিটিভভাবে তুলে ধরতে হবে।
প্রতিটি হাসপাতালে বন্ধুত্বপূর্ণ তথ্যকেন্দ্র স্থাপন করতে হবে। বড় হাসপাতালে সঠিক দিকনির্দেশনা সম্বলিত বড় সাইনবোর্ড স্থাপন করতে হবে। বড় হাসপাতালের ওয়ার্ডের এরেঞ্জম্যান্টে সামঞ্জস্যতা রাখতে হবে। যেমন, অবস লেবার ওয়ার্ডের পাশেই শিশু বিভাগ, নিউরোলজি ওয়ার্ডের সাথেই নিউরোসার্জারী বিভাগ ইত্যাদি। বোধগম্য ম্যাপ দৃশ্যমানস্থানে স্থাপন করতে হবে। ছোট লিফলেটে সংক্ষেপে সেবাগ্রহীতার জন্য নির্দেশনামূলক প্রসপেক্টাস তৈরি করতে হবে।
একজন সচেতন নাগরিককে রাষ্ট্র জানাবেন-
১। এলাকায় সরকারি-বেসরকারি কোন কোন স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
২। এগুলোতে কি কি সেবা চালু আছে।
৩। কোন অসুস্থতায় কোন ধরনের সেবা প্রতিষ্ঠানে রোগীকে নিতে হবে।
৪। সেবা প্রতিষ্ঠানের সীমাবদ্ধতা যেমন, লোকবল সংকট, বাজেট ঘাটতি ইত্যাদিও জানাবেন।
স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য, স্থানীয় সরকার সব বিভাগকে সমন্বয় করতে হবে জনগণকে সচেতন করে তোলার জন্য। এভাবে জনগণকে সংগে নিয়ে না চললে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কাঙ্ক্ষিত উন্নতি করা সম্ভব হবে না।
________________
স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা সচেতনতা।
০৭/০৫/২৩
ময়মনসিংহ।