হাওর এলাকায় সেবা দিয়ে বিদায় নেওয়ার প্রাক্কালে চিকিৎসকের আবেগঘন স্ট্যাটাস
মিঠামইন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সহকর্মীদের সঙ্গে ডা. হাসানুর রহমান
হাওর এলাকায় রোগীদের এক বছর সেবা দিয়ে বিদায় নেওয়ার প্রাক্কালে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন ডা. মো. হাসানুর রহমান।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম কর্মস্থল হিসেবে কিশোরগঞ্জ জেলার হাওর এলাকা মিঠামইন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সহকারী সার্জন হিসেবে যোগ দেন তরুণ এ চিকিৎসক।
এ প্রসঙ্গে ডা. মো. হাসানুর রহমান তার ফেসবুক টাইমলাইনে বলেন, বাংলাদেশের মালদ্বীপ খ্যাত দুর্গম এই হাওর এলাকা মিঠামইন এসে পৌছায় তখন মনে করতাম কবে যে শেষ হবে! এইখান থেকে যেতে পারব । আর এখন অবস্থা ভিন্ন । যেতে খুবই কষ্ট হচ্ছে ।
ডা. মো. হাসানুর রহমান বলেন, দীর্ঘ ১ বছর ১ মাসের স্মৃতিতে পূর্ণ চাকরিজীবনের প্রথম কর্মস্থল ছেড়ে ,প্রিয় মানুষগুলোকে ছেড়ে চলে যেতে হচ্ছে উচ্চতর ডিগ্রী অর্জনের লক্ষ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
তিনি বলেন, জীবনের সোনালী সময়টুকু যে এত তাড়াতাড়ি চলে যাবে তা ভাবতেও পারিনি । ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ সালে যখন দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ( ১২০ কি.মি.ট্রেন, ১ কি.মি. অটো রিক্সা, ২০ কি.মি.CNG,ফেরি পারাপার,আবার ১০ কিমি সিএনজিতে, আবার ফেরি পারাপার, আবার ১ কি.মি.অটো রিক্সাযোগে বাংলাদেশের মালদ্বীপ খ্যাত দুর্গম এই হাওর এলাকা মিঠামইন এসে পৌঁছাই তখন মনে করতাম কবে যে শেষ হবে! এইখান থেকে যেতে পারব । আর এখন অবস্থা ভিন্ন । যেতে খুবই কষ্ট হচ্ছে । এখানে এসে আমার পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেড়েছে । প্রিয় ইউএচএফপিও স্যার, প্রিয় সহকর্মীবৃন্দ,প্রিয় স্টাফবৃন্দসহ অনেক মানুষের সাথে মিশেছি, কাজ করেছি।
আবেগে আপ্লুত ডা. হাসানুর রহমান সবার উদ্দেশে বলেন, এই দীর্ঘ সময়ে কাউকে কোন রকম কষ্ট দিয়ে থাকলে অথবা আমার কোন আচরণে কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে ক্ষমা চাচ্ছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, আমি যেন ভালো মানুষ হতে পারি।