পুলিশকে আমরা কোনক্রমে প্রতিপক্ষ ভাবি না

ডা. বাহারুল আলম (সভাপতি খুলনা বিএমএ) :
2023-03-04 16:54:13
পুলিশকে আমরা কোনক্রমে প্রতিপক্ষ ভাবি না

ডা. বাহারুল আলম, সভাপতি খুলনা বিএমএ

মহাপরিচালক স্বাস্থ্যের প্রতিনিধি দল ও পুলিশ প্রশাসন একমত- সন্ত্রাসী এএসআই নাইমকে ক্ষমা করে দেওয়া। কেবল দ্বিমত খুলনা বিএমএ ও সারাদেশের সংগ্রামী চিকিৎসকরা ও অপরাপর পেশাজীবীগণ– তারা অপরাধীর শাস্তি চায়।
....................................
মহাপরিচালক স্বাস্থ্য-এর বরাতে খুলনায় আসা পরিদর্শক দল বিএমএ, বিপিএমপিএ ও ক্লিনিক মালিক সমিতির আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ করার পর ঢাকায় প্রত্যাবর্তন না করে সন্ধ্যায় খুলনা সার্কিট হাউজে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ও পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে মত বিনিময়ে বসে। এ মত বিনিময় গভীর রাত অবধি চলে।

একপর্যায়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য ও পরিচালক প্রশাসন আমাকে সেই মত বিনিময় সভায় যাওয়ার জন্য বারবার ফোনে অনুরোধ করে। আমি অস্বীকৃতি জানিয়ে বলি – একজন আত্মস্বীকৃত অপরাধী এএসআই- কে বিচারে সোপর্দ করতে সার্কিট হাউজে কোন মতবিনিময়ের প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।

আরও বলি- পুলিশ প্রশাসন ঐ অপরাধীর পক্ষ হয়ে দর কষাকষি করবে – তা খুলনা বিএমএ কোন অবস্থাতেই মেনে নিবে না এবং পুলিশকে আমরা কোনক্রমে প্রতিপক্ষ ভাবি না।

তারা আইন রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য হয়ে অপরাধীর বিচার চাচ্ছে না– এ কোন বিচার ব্যবস্থা!

ঐ সভা শেষে গভীর রাতে খুলনা পুলিশ প্রশাসনের নিরাপত্তায় থাকা সন্ত্রাসী এএসআই নাইম ও তার স্ত্রী-কে নিয়ে আলোচক দল খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত শয্যাশায়ী ডা নিশাত আবদুল্লাহ-র কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করায়।

একজন আত্মস্বীকৃত অপরাধীকে বিচারে সোপর্দ করা হবে না – যে কি না অপারেশন চলাকালীন জোর করে অপারেশন থিয়েটারে ধূকেছে, চিকিৎসক অধ্যাপককে মারধর করেছে, যে রোগীর অপারেশন চলছিল তার অপারেশন বন্ধ করে দিয়েছে – তাকে শাস্তি দেওয়ার কোন আলাপ আলোচনা ছাড়াই ডা নিশাত আব্দুল্লাহ-র ক্ষমা করে দেওয়ার প্রক্রিয়া রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল কর্তাব্যক্তিদের একমাত্র দায়িত্ব হয়ে উঠেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং পুলিশ প্রশাসন–উভয়ের লক্ষ্য এক ও অভিন্ন। আত্মস্বীকৃত এ এস আই নাইমকে শাস্তি না দিয়ে ক্ষমা করে দেওয়া। বিচারহীনতা কাকে বলে!

মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে জঘন্য অপরাধীকে শাস্তির আওতায় না এনে, বিচার না করে ক্ষমা করে দিতে হবে?


আরও দেখুন: