মৃগী রোগ
মৃগী রোগ বিষয়ে লিখেছেন ডা. মো. তরিকুল হাসান
প্রায় ৪ হাজার বছর আগের মেসোপোটেমিয়া সভ্যতায় প্রাপ্ত ইনস্ক্রিপ্টে আছে, "তার ঘাড় বামে বেঁকে গেলো, তার হাত-পা প্রচন্ড শক্ত হয়ে গেলো! চোখের পাতা বড় করে খুলে গেলো, মুখ দিয়ে ফেনা বেরোতে লাগলো! "
এ যেন একজন মৃগী রোগীর আধুনিক চিকিৎসাবিদ্যার পাঠ্যপুস্তকের পাতা থেকে তুলে আনা বর্ণনা! হাজার বছর আগের ধারণা ছিল, মন্দ আত্মা বা ভূত-প্রেতের আছর থেকে এই অদ্ভূত উপসর্গ দেখা দেয়। তাই সেই আত্মাকে দূর করার জন্য জুতার তলা, গোবর প্রভৃতি নোংরা বস্তু রোগীর নাকে শুঁকানো হতো!
আজকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মৃগী রোগ বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ের একটি সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কিংবদন্তি নিউরোলজিস্ট অধ্যাপক (ডা.) কাজী দীন মোহাম্মদ স্যার বলছিলেন, হাজার বছর পরেও কি আমরা জণগণকে সচেতন করতে পেরেছি। ঢাকা শহরের মত দেশের কেন্দ্রবিন্দুতে কোন রোগী এরকম খিচুনি আক্রান্ত হলে জনগণ কি করে? তারাও হাজার বছর আগের মতই আত্মাকে দূর করার জন্য জুতার তলা, গোবর প্রভৃতি নোংরা বস্তু রোগীর নাকে শুঁকায়!
আসুন নিজে সচেতন হই। সবাইকে সচেতন করি। অন্যান্য রোগের মতই মৃগী রোগও একটি রোগ। এর চিকিৎসা রয়েছে।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. মানবেন্দ্র ভট্টাচার্য স্যারের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত আজকের দিনব্যাপী আয়োজনে দেশের অনেক স্বনামধন্য নিউরোলজিস্ট ও নিউরোসার্জনগন উপস্থিত ছিলেন। এরকম আয়োজনে অংশ নিতে পারাটা অনেক আনন্দের।
______________________
মৃগী রোগ।
ডা. মো. তরিকুল হাসান
০৯/০২/২৩
কাওরাইদ, গাজীপুর।