বিকৃত উল্লাস করে ওরা মানুষকে অসুস্থ করে ছাড়ে
হাসপাতালের সিসিইউতে গত রাতে ভর্তি হওয়া ভদ্রমহিলা
পার্কের হাঁটা শেষ করে রাস্তায় উঠতেই একজন টেনে ধরে বললো, জ্যাকেটটা ধুয়ে নিবেন।
খুলে দেখলাম, পিঠে চুনের মতো লেপ্টে আছে- কাকের সাদা বিষ্টা।
হাসলাম। আসলে কাকগুলো মজা পায় মানুষের উপর তার বিষ্টাটা ফেলে। এরা উড়ে এসে একদম জায়গা মতো ছাড়ে।
মুন হাসপাতালের সিসিইউতে গত রাতে একজন ভদ্রমহিলা ভর্তি হয়েছেন বুক ধরফর নিয়ে। জানালেন, থার্টিফার্স্ট নাইট থেকেই এই অস্থিরতার শুরু। একেকটা বাজি ফুটে, আর আমি লাফ দিয়ে উঠি।
জেদ হলো, মানুষ কাউয়াদের জন্য! শুধুমাত্র বিকৃত উল্লাস পালন করার জন্য মানুষকে অসুস্থ করে ছাড়ে।
লাইফ সাপোর্টে থাকা মানুষটার সবধরনের সাপোর্ট কমিয়ে যখন ফেন্টা কমালাম, এসআইএমভি-তে দিলাম, লম্বা শ্বাস নিতে বললাম, রুগীকে আস্বস্ত করলাম সুস্থ হয়ে যাবেন। রুগীকে বললাম, লম্বা শ্বাস নেন নল খুলে দিবো।
রুগী মাথা নাড়ে। নল খুলতে রাজি না!
বাড়ি যাবেন না?
এখানেও মাথা নাড়ে। ইচ্ছুক না!!
অনেক কষ্টে থাকা মানুষটা একটু শান্তি পেলে সে কি আর সেটা হারাতে চায়?
অতিষ্ঠ হয়ে যাওয়া জীবন বিসর্জন দিয়ে এজন্যই বোধহয় অনেকেই চলে যেতে চায় অন্য এক অচেনা জগতে।
পৃথিবীকে শান্তিময় করার চেষ্টা করা বোধহয় সবারই একান্ত কর্তব্য।
এই ভদ্রমহিলা লাইফ সাপোর্টে থাকতেই ইচ্ছুক!!