অগ্নিদগ্ধ রোগীর চিকিৎসায় নতুন সম্ভাবনা
‘অগ্নিদগ্ধ রোগীর চিকিৎসায় নতুন সম্ভাবনা’- লিখেছেন : অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী
বার্ন রোগীদের জন্য ফিশ স্কিল ব্যবহার এক নতুন সম্ভাবনা।
অগ্নিতে দগ্ধ ত্বকের সেরে উঠার জন্য দারুন কার্যকর দেখা যাচ্ছে মাছের চামড়ার ব্যান্ডেজ।
এটি ক্ষত সংলগ্ন হয়ে থাকে আর বাহিরের সঙ্ক্রমন থেকে দেয় সুরক্ষা। সঙ্ক্রমনের সম্ভাবনা কমে আর সেরে উঠার আদ্র অনুকুল পরিবেশ হয় সৃষ্টি।
আগে এই ফিস স্কিন নির্বীজন করা হয় আর নানা ধাপে প্রসেস করা হয়।
এই ব্যান্ডেজ গন্ধহীন।
এই ব্যান্ডেজ সেরে উঠা পর্যন্ত সংলগ্ন থাকে।
এই ব্যান্ডেজ প্রতিদিন বদলাবার প্রয়োজন পড়েনা অন্য ব্যান্ডেজের মত।
ব্লাজিলিয়ান ডাক্তাররা ২০১৭ সালে অগ্নি দগ্ধ ত্বকের জন্য ব্যবহার করেন তেলাপিয়া মাছের চামড়া। সেকেন্ড ডিগ্রি পোড়া সেরে উঠে ৯-১১ দিনে।
এই ট্রায়ালে তেলাপিয়া মাছের চামড়া প্রয়গে সেরে উঠার সময় হ্রস্বতর হয়েছে আর ব্যথা উপশম হয়েছে।
এছাড়া এই ফিস স্কিন ব্যবহার করা যায় সার্জারিতে আর ইনজুরিতে।
এমনকি ডায়াবেটিক ফুট আলসার আর ভেনাস লেগ আলসারেও ২০২১ সালে এফডিএ অনুমোদন দিয়েছে ইমপ্লান্টাবল ফিশ স্কিন।
একে ব্যবহার করা যায় প্লাস্টিক আর রিকন্সট্রাক্টিভ সার্জারিতে।
ভবিষ্যতে ফিশ স্কিনের ব্যবহার ক্রমে ক্রমে বাড়বে ক্লিনিকেল এপ্লিকেশনে।