এর জন্য প্রয়োজন সার্জারি!
অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী
আমাদের ধন বিত্ত বাড়ছে কিন্তু জণগনের অধিকাংশ সভ্য হতে পারেননি এখনও।
নগরীর কেন্দ্রস্থলে ভাঙ্গাচোরা ফুটপাথে বসেছে চায়ের দোকান, ভাতের হোটেল, রিকশা সারাবার ঘর। এক কোনায় ফেরিতে ঝাল মুড়ি, আচার। মাছি ভন ভন করতাছে। ভাপা পিঠাও আছে।
এর পাশে খুব সরু পথে যাতায়াত করা আর প্রায়ই ম্যানহোল থাকে ঢাকনা খোলা। কে ভেতরে " হান্ধাইবে " কে জানে। পড়ে গেলে রাপচার ইউরেথ্রা মূত্রনালি বিদীর্ণ হতে পারে। এর জন্য প্রয়োজন সার্জারি। সারাজীবন অক্ষমতা আসা অসম্ভব নয়। তাই ফুটপাত দিয়ে হাঁটার সময় মাথা নিচু করে দেখে হাঁটুন।
আর ওদিক ফুটপাথ যেখানে ভাঙ্গা
আর সেখানে একটি গর্ত সৃষ্টি
সেখানে সবার সামনে একজন লুঙ্গি তুলে
এক নিলাজ পুরুষ প্রাকৃতিক কর্ম করতে বসল। চোখ দেয়ালের দিকে। যেন কেউ দেখছেনা। কাউয়া এমন করে বিষ্ঠা ত্যাগের সময় চোখ বুজে।
এদিকে পানির ধারা গড়াল আর এমনিয়ার কটু গন্ধের মাঝখানে ডিমের রসার সাথে ভাত মেখে খেতে বসলেন একজন রিক্সাশ্রমিক। আমাদের একেবারে লজ্জা নাই। একজন মহিলা হেঁটে যাচ্ছেন- তবু ইনার মনে ভাবান্তর নাই। কি নির্লজ্জ! কি অশ্লীল দৃশ্য ভাবুন!
এখন অন্ততঃ রাস্তা ঘাটে বড় কাজ করতে দেখা না গেলেও, রাতে এই কর্ম চলে আর সকালে ফুটপাথে এর নিদর্শন দেখা যায়। অসাবধানে চললে জুতো নোংরা হতে পারে। কুকুর, বিড়াল, মানুষ প্রকৃতির আহবানে একাকার!
শুনতে খারাপ লাগলেও এই হচ্ছি আমরা।
যিনি এই কর্ম করলেন তিনি নির্বিকার। চারপাশের সবাই তাই। কারণ এ-তো হবেই। এই-ই তো আমরা। এই আমাদের চাল-চলন জীবনাচার।
সেই ট্রাডিশন সমানে চলিতেছে। চলিবে।
এসব শিক্ষা দেবে কে? নিশ্চয় পরিবার আর স্কুল। দরকার শত ভাগ শিক্ষিত করা আর কঠোর শাসন।
তবে আশ্চর্য ! বিদেশে গেলে আমরা এই আমরা কি সভ্য! কেন ?
তাহলে আমাদের জন্য কি দরকার কঠোর আইন প্রয়োগ ?
কিছু করার নাই।