প্রভাষক ডা. মির্জা কাউসারকে অপহরণের অভিযোগ
ডা. মির্জা কাউসার
কিশোরগঞ্জের প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজের ফার্মাকোলজি বিভাগের প্রভাষক ডা. মির্জা কাউসারকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে কিশোরগঞ্জ শহরের খরমপট্টি এলাকার মেডিক্স কোচিং সেন্টার থেকে ৫ জনের একটি দল তাকে তুলে নিয়ে যায়। কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার উজানচর এলাকায় তার বাড়ি। কোচিং সেন্টারটির পরিচালক হিসেবে তিনি এক বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছেন। সূত্র : দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ডা. মির্জা কাউসারের সহকর্মী ডা. সুমন মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, সন্ধ্যা ৭টার দিকে কালো রঙের একটি হায়েস গাড়িতে ৫ জন লোক এসে মেডিক্স কোচিং সেন্টারের সামনে নামেন। পরে তারা কোচিংয়ের দ্বিতীয় তলায় গিয়ে পরিচালককে খুঁজতে থাকেন। এরপর অফিস কক্ষে ঢুকে মির্জা কাউসারের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলেই তারা তাকে নিয়ে নিচে নামেন।
এ সময় পাশের রুমে থাকা ডা. সুমন মিয়া বের হয়ে আসেন। ভবনের নিচে নেমে গাড়িতে আরও দুজনকে বসে থাকতে দেখেন। ডা. মির্জা কাউসারকে নিচে নামানো একজন গাড়িতে বসে থাকা দুজনকে জিজ্ঞেস করেন, ইনিই কাউসার কি না? তারা ‘হ্যাঁ’ সূচক উত্তর দেয়ার পরই ডা. কাউসারকে গাড়িতে তুলে নেয়া হয়। এসময় ডা. কাউসার সহকর্মী সুমন মিয়াকে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষকে ফোন দিতে অনুরোধ করেন। ঠিক তখনই গাড়িতে থাকা একজন নেমে ডা. সুমন মিয়ার মোবাইল ফোনটি কেড়ে নিয়ে চলে যান।
গাড়িতে বসে থাকা একজনের গায়ে পুলিশের পোশাক ছিল বলেও দাবি করেন ডা. সুমন মিয়া।
ডা. মির্জা কাউসারের বাবা আবদুল হাকিম বলেন, কাউসারের সঙ্গে কারও শত্রুতা বা ঝামেলা নেই। তাকে কেন অপহরণ করা হয়েছে এ বিষয়ে কিছুই বুঝতে পারছেন না তিনি।
প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আ. ন. ম নৌশাদ খান বলেন, ডা. মির্জা কাউসার খুবই নিরীহ প্রকৃতির ও মেধাবী। মেডিক্স কোচিং সেন্টারটি অল্পদিনে অনেক এগিয়েছে। কোচিং সেন্টারকেন্দ্রিক ঘটনায় তাকে অপহরণ করা হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা তাঁর।
কিশোরগঞ্জ সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো.আল-আমিন হোসাইন বলেন, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখান থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশ কাজ করছে।