দেড় লাখ মানুষের চোখের ছানি অপারেশন করেছি

ডা. শারমিন ইয়াসমিন খান
2021-10-08 01:31:36
দেড় লাখ মানুষের চোখের ছানি অপারেশন করেছি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ।

দেড় লাখ মানুষের বিনামূল্যে ছানি অপারেশন করেছেন বলে জানিয়েছেন দেশের প্রখ্যাত চক্ষুবিশেষজ্ঞ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ।

নিজের ৬৬তম জন্মদিনে বৃহস্পতিবার রাতে ডক্টর টিভিকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি নিজের ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে চক্ষু রোগীদের সেবা নিজেকে নিয়োজিত রাখার বিষয়ে এ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন, আমার শিক্ষক চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন হুমায়ুন, অধ্যাপক ডা. হুমায়ুন কবির আমাকে আই ক্যাম্পে (চক্ষুশিবিরে) নিয়ে যেতেন। আর আমাকে হাসপাতালেও অপারেশনে সহযোগী হিসেবে রাখতেন। ছানি কীভাবে করে, কীভাবে ভিসিয়ার অপারেশন করে এগুলো তারা দেখাতেন। এভাবে আমি দেড় লাখ মানুষের অপারেশন আমি করেছি। যারা চক্ষু শিবিরে আমাকে সহযোগিতা করতো তাদের মা আমার বহু ছাত্র অধ্যাপক হয়েছে, বিভাগীয় প্রধান হয়েছে।

নিজের জীবনের স্মৃতি বর্ণনা করতে গিয়ে অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি ফুটবল ভালো খেলতাম, আমি বিতর্ক করতাম। আমি মেডিকেল কলেজে পড়ার সময়ও খেলাধুলা করেছি। বিশেষ করে আমি ছাত্রলীগের কর্মী থেকে সভাপতি পর্যন্ত হয়েছিলাম। সাংগঠনিক সম্পাদক, সাধারণ সম্পাদকসব পদেই আমি দায়িত্ব পালন করেছি।

চক্ষু বিশেষজ্ঞ হওয়ার ক্ষেত্রে কোন বিষয়টি বিশেষ অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে-এমন প্রশ্নের জবাবে দেশের এ প্রখ্যাত চিকিৎসক বলেন, আমি সেখানে লিও ক্লাব করতাম। এটা লায়ন্স ক্লাবের একটা পার্ট। আমি তখনকার দিনে লিও ক্লাবের মতো সমাজসেবী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। সেখান থেকেই মূলত আমার চক্ষু বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রেরণা। এছাড়াও সত্যিকার অর্থে আমি মেডিকেল কলেজের শিক্ষকদের কাছ থেকে চক্ষু বিশেষজ্ঞ হওয়ার জন্য অনুপ্রেরণা পেয়েছি।

তিনি বলেন, আমি ওই সময় থেকেই চক্ষু শিবিরে যেতাম। তখন বিনামূল্যে গ্রামে গ্রামে যে চক্ষু শিবির হতো, মানুষের চক্ষু অপারেশন হতো। আমি তখন দেখতাম, এই যে গরিব লোকটা দেখতে পাচ্ছে না-বিনামূল্যে সেবা দেওয়ার যে সুযোগ পেয়েছিলাম সেটা দেখতে দেখতেই মনে হয় আমার চক্ষু বিশেষজ্ঞ হওয়ার আগ্রহটা জন্মায়।
কারণ, আমি বিনামূল্যে তাদের চক্ষু চিকিৎসা করতে পারছি। একজন অন্ধ লোককে দৃষ্টি দিতে পারছি।

চক্ষু বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিজের তৃপ্তির কথা তুলে ধরে অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, গতকাল যে আমাকে দেখে নাই কিন্তু অপারেশনের পর আমাকে সে দেখতে পাচ্ছে, হেলথ সেক্টরে এই রকম উপকার করা সম্ভব শুধু চক্ষুবিশেষজ্ঞ হয়েই। কারণ, এন্টিবায়োটিক খেলেও জ্বর সারতে প্রায় ৭দিন লাগে, অন্যান্য অপারেশনেও অনেক দিন সময় লাগে। কিন্তু চোখের অপারেশনের একদিনেই বা আজকাল দুই ঘণ্টা পরই চোখের দৃষ্টি ফিরতে পারে।

তিনি বলেন, আমার উদ্দেশ্য মানুষকে সেবা করা। সমাজসেবক হওয়া এবং অন্ধত্ব নিবারণ করা। এই কারণেই আমি চক্ষু বিশেষজ্ঞ হয়েছি।

→সাক্ষাৎকারটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন


আরও দেখুন: