কে কোন আবিষ্কারে চিকিৎসার নোবেল পেয়েছেন
চিকিৎসা শাস্ত্রে কে কোন আবিষ্কারের জন্য নোবেল পেয়েছেন
ইনসুলিন: চিকিৎসাবিজ্ঞানী ডা. ফ্রেডরিক গ্র্যান্ট ব্যানটিং ও বিজ্ঞানী চার্লস বেস্ট ইনসুলিন আবিষ্কার করে নোবেল জয় করেন। ১৯২২ সালে তারা যৌথভাবে ইনসুলিন আবিস্কার করে ১৯২৩ সালে নোবেল পান।
রক্তের গ্রুপ: মানুষের রক্তের গ্রুপ আবিষ্কারের জন্য ১৯৩০ সালে অস্ট্রিয়ান জীববিজ্ঞানী ও চিকিৎসক কার্ল ল্যান্ডস্টেইনার নোবেল পান।
এইচআইভি ভাইরাস: এইডস এর জন্য দায়ী এইচআইভি ভাইরাস আবিস্কারের জন্য ফরাসি ভাইরাসবিজ্ঞানী ফ্রঁসোয়াজ বারে-সিনুসি ও লুক মন্টেগনিয়ার ২০০৮ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান।
ডিপথেরিয়া চিকিৎসায় সিরাম থেরাপি: এমিল আডলফ ফন বেরিং একজন জার্মান চিকিৎসক ও ব্যাকটেরিয়া বিজ্ঞানী। তিনি সর্বপ্রথম চিকিৎসাবিজ্ঞানে ১৯০১ সালে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন। অনাক্রম্যবিজ্ঞানের একজন জনক হিসেবে তাকে ডিপথেরিয়া রোগের চিকিৎসায় সিরাম থেরাপি ব্যবহারের জন্য চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল দেওয়া হয়।
ম্যালেরিয়া: স্কটিশ (ব্রিটিশ) চিকিৎসক ও ব্যাকটেরিয়া বিজ্ঞানী রোনাল্ড রস ম্যালেরিয়া নিয়ে গবেষণার জন্য ১৯০২ সালে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন। তিনিই প্রথম দেখান কী করে ম্যালেরিয়া ছড়ায়।
যক্ষ্মা: রোবের্ট কখ ১৮৯০ সালে টিউবারকুলিন নামের একটি পদার্থ আবিষ্কার করেন। পদার্থটিকে শুরুতে ত্রুটিবশত যক্ষ্মার একটি প্রতিকারমূলক ওষুধ হিসেবে গণ্য করা হলেও বর্তমানে এটিকে যক্ষ্মার উপস্থিতি শনাক্ত করতে ব্যবহৃত হয়। রোবের্ট কখকে ১৯০৫ সালে তার কাজের জন্য চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে গবেষণার জন্য জার্মান চিকিৎসক পল এনরিচ ও রুশ চিকিৎসক এলি মেটকিনকফকে ১৯০৮ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়।
থাইরয়েড: থাইরয়েড গ্রন্থির প্যাথলজি, শারীরতত্ত্ব ও অস্ত্রপ্রচার নিয়ে গবেষণার জন্য সুইচ চিকিৎসক থিওডোর কোচারকে ১৯০৯ সালে নোবেল পুরস্কার পান।
হরমোন: হরমোনের ক্রিয়া কৌশল সম্পর্কিত গবেষণার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আর্ল উইলবার সাদারল্যান্ড জুনিয়র ১৯৭১ সালে নোবেল পান।
চোখের ডাইঅপটিক্স: সুইডিস চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডা. অ্যালভার গুলস্ট্রান্ড চোখের ডাইঅপটিক্স নিয়ে গবেষণার জন্য ১৯১১ সালে নোবেল পান।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: বেলজিয়ামের চিকিৎসক জুল্স বর্ডেট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি নিয়ে গবেষণার জন্য ১৯১৯ সালে নোবেল পান।
ভিটামিন: দেহের বৃদ্ধি উত্তেজক ভিটামিন আবিষ্কারের জন্য ১৯২৯ সালে যুক্তরাজ্যের প্রাণরসায়নবিদ স্যার ফ্রেডরিখ হপকিন্স নোবেল পান।
অ্যান্টিবডি: অ্যান্টিবডি-এর রাসায়নিক গঠন আবিষ্কারের জন্য ১৯৭২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের জেরাল্ড এম. এডেলম্যান ও যুক্তরাজ্যের রডনি আর. পোর্টার যৌথভাবে নোবেল পান।
হেপাটাইটিস সি: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভি অল্টার এর সাথে মাইকেল হিউটন ও চার্লস এম রাইস হেপাটাইটিস সি আবিষ্কার করে নোবেল পান। তারা ২০২০ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
নিউরনের ক্রিয়া কৌশল: যুক্তরাজ্যের চিকিৎসক এডগার ডগলাস আর্দ্রিয়ান ও চার্লস শেরিংটন নিউরনের ক্রিয়া কৌশল আবিষ্কারের জন্য ১৯৩২ সালে নোবেল পান।
পৌষ্টিক ক্রিয়া: পৌষ্টিক ক্রিয়ার শারীরতত্ত্বের উপর গবেষণার জন্য রুশ চিকিৎসক ইভান পাভলভ কে ১৯০৪ সালে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়।
ক্রোমজোমের ভূমিকা: বংশগতিতে ক্রোমজোমের ভূমিকা সম্পর্কিত গবেষণার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বংশগতিবিদ ও ভ্রূণতত্ত্ববিদ থমাস হান্ট মর্গান ১৯৩৩ সালে নোবেল পান।