মহামারীতে যেভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখবেন
মহামারীতে যেভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখবেন
ডায়াবেটিস হরমোনের সবচেয়ে বড় একটি অসুখ। সমাজে এই রোগটি আমরা অনেক বেশি পেয়ে থাকি। ডায়াবেটিস রোগের যে প্রভাব এবং বিস্তার, এটা আরও বেড়ে যাচ্ছে করোনা মহামারীর সময়। আপনারা হয়তো অবাক হয়েছেন করোনার সঙ্গে আবার ডায়াবেটিসের কী সম্পর্ক?
আসলে এক্ষেত্রে অনেক সম্পর্ক রয়েছে। সেটি হচ্ছে লাইফস্টাইল। করোনার এই সময়ে আমরা গৃহবন্দী হয়ে গেছি। আমাদের হাঁটাচলা, স্কুল-কলেজ, ভার্সিটি- এসব কার্যক্রম আমরা ভিন্ন পদ্ধতিতে সম্পন্ন করছি। এসব করতে এখন আমাদের শারীরিক পরিশ্রম কমে গেছে। আমাদের বাইরে বের হওয়া কমে গেছে।
ফলে আমরা সারাক্ষণ বাসায় থাকি এবং আমাদের ফিজিক্যাল অ্যাকটিভিটি কমে গেছে। বাচ্চাদের যেহেতু স্কুল বন্ধ সুতরাং তাদের খাবার দাবারের প্রতি উপভোগ্য বেড়ে গিয়েছে, ফলে তাদের ওজন বেড়ে যাচ্ছে।
বিভিন্ন ধরনের ডায়াবেটিস ও হরমোনের রোগ আস্তে আস্তে বেড়ে যাচ্ছে। মানুষের শরীরে পেটের ভিতর প্যানক্রিয়াস থেকে ইনসুলিন হরমোন তৈরি হয়। সেই হরমোনকে ডায়াবেটিস কমিয়ে দেয় করোনায় আক্রান্ত হলে। সেজন্য করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর অনেক রোগী প্রথমবার ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছে। অথবা যাদের ডায়াবেটিস আগে কন্ট্রোলে ছিল, সেটা আনকন্ট্রোলড হয়ে যাচ্ছে।
সুতরাং আমরা ধারণা করছি, এক বছর পরে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে আমাদের ধারণার থেকেও অনেক বেশি সংখ্যক ডায়াবেটিস রোগী ধরা পড়ছে। সুতরাং লাইফস্টাইলের এই অসুখের বিষয়ে আমাদের খুবই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
আমরা আসলে জানি না মহান রাব্বুল আলামিন কবে আমাদেরকে এই মহামারী থেকে মুক্তি দিবেন। মহামারী চলাকালীন অবস্থায় আমরা জীবনধারণের এই গুরুত্বপূর্ণ নিয়মগুলো নিজেরাই সচেতন ভাবে মানতে চেষ্টা করবো।
আমরা নিজেরা নিজেদের প্রতি এবং আমাদের বাসায় মা-বাবা, সন্তানদের সবার দিকে খেয়াল রাখব তাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে আছে কিনা, তাদের শারীরিক পরিশ্রম হচ্ছে কিনা। ঘরের মধ্যে শারীরিক পরিশ্রম করা যায়। ঘরের যে কাজ আছে, সেগুলো নিজে নিজে করা। নিজের ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, বিছানা পরিষ্কার করা, বাচ্চাদেরকে শিখানো ঘর গুছিয়ে রাখা। নিজের জামা কাপড়গুলো পরিষ্কার রাখা, রান্না-বান্না করা এবং পরিমিত পরিমাণে সুষম খাবার খাওয়া।
এছাড়া উপভোগ্য খাবারগুলো পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে যাতে আমাদের ওজন বেড়ে না যায়। সেজন্য এই বিষয়গুলোর দিকে আমাদের সাংঘাতিকভাবে নজর রাখতে হবে।