আইবিডি রোগকে অবহেলার পরিণতি অন্ত্রে ক্যান্সার
ইনফ্লামেটরি বাওয়েল ডিজিজ বা আইবিডি একটি জটিল রোগ। এই রোগটি যেমন দীর্ঘমেয়াদি, তেমনি চিকিৎসাও দীর্ঘমেয়াদি।
ইনফ্লামেটরি বাওয়েল ডিজিজ বা আইবিডি একটি জটিল রোগ। এই রোগটি যেমন দীর্ঘমেয়াদি, তেমনি চিকিৎসাও দীর্ঘমেয়াদি। অবহেলার ফলে এই রোগ থেকে অন্ত্রে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
ডক্টর টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালের পরিচালক, পরিপাকতন্ত্র ও লিভার রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. ফারুক আহমেদ এমনটাই বলেছেন।
তিনি বলেন, সারা বিশ্বে প্রায় এক কোটি মানুষ আইবিডি রোগে আক্রান্ত। আইবিডি একটা দীর্ঘমেয়াদি রোগ। এটা হলে মানুষের ওপর শারীরিক এবং মানসিক প্রভাব পড়ে।
অধ্যাপক ফারুক আহমেদ বলেন, এই রোগের অনেক জটিলতাও আছে। এই রোগের চিকিৎসা যেমন ঝামেলা, তেমন ব্যয়বহুল। ফলাফলও সব সময় ভালোও পাওয়া যায় না। আর রোগটির এখন পর্যন্ত সেরকম কোনো চিকিৎসা বের হয়নি।
তিনি বলেন, আইবিডি রোগকে আমরা জটিল রোগ বলে মনে করি। কারণ, আইবিডি হলো পরিপাকতন্ত্রে প্রদাহ হয়। এরপর প্রদাহ থেকে আলসার হয়। আলসার থেকে অনেক জটিলতা দেখা দেয়। এছাড়াও শরীরের যেকোনো জায়গায় এই রোগের জটিলতা দেখা দেয়।
এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন, সাধারণত ১৫ থেকে ৪০ বছর বয়সী মানুষের আইবিডি রোগটি হয়। এটা হলে সাধারণত পেটে ব্যথা হয়, টয়লেটের সমস্যা হয়। সব থেকে বড় লক্ষণ হলো টয়লেটের সঙ্গে রক্ত আসে। এর সাথে জ্বর আসে, স্বাস্থ্যহানি হয়, খাবারে অরুচি দেখা দেয়। এগুলো প্রাথমিক সমস্যা।
তিনি বলেন, এই রোগটি দীর্ঘস্থায়ী হলে, এর সঙ্গে আরও অনেক জটিলতা দেখা দেয়। বিভিন্ন ধরনের ত্বকের সমস্যা দেখা যায়, চোখের প্রদাহ যা দৃষ্টিকে প্রভাবিত করতে পারে। পিত্তনালীগুলোর প্রদাহ যা লিভারকে নিকাশ করে। আস্তে আস্তে রক্তে ইনফেকশন হয়। রক্ত থেকে এটি সারা শরীরে ছড়িয়ে যেতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে এই রোগটি থাকলে ক্যান্সারের মতো বড় রোগও হতে পারে।
অধ্যাপক ফারুক আহমেদ বলেন, এজন্য আইবিডি রোগকে হালকাভাবে দেখার কোনো কারণ নেই। আইবিডি মানেই দীর্ঘমেয়াদি রোগ। এর যদি সঠিকভাবে চিকিৎসা না হয়, তাহলে এর অনেক জটিলতা হবে।
তিনি বলেন, এ রোগের চিকিৎসা নিয়মিত চিকিৎসকের সান্নিধ্যে থেকে করতে হয়। তদুপরী যাদের আট বছরের বেশি সময় ধরে আইবিডি রোগ থাকে তাদের অন্ত্রে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এ কারণে এ রোগের ব্যাপারে অবহেলা করার ন্যূনতম সুযোগ নেই।