৩ পদ্ধতিতে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ সম্ভব: বিএসএমএমইউ ভিসি

ডক্টর টিভি রিপোর্ট
2021-05-09 01:50:20
৩ পদ্ধতিতে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ সম্ভব: বিএসএমএমইউ ভিসি

করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। প্রতিবেশী ভারতে এখন করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে। গত শুক্রবার (৭ মে) বাংলাদেশে ‘ভারতের অতি সংক্রামক ধরনে’ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলছেন, ভয়ের চেয়ে সতর্কতা বেশি জরুরি। প্রত্যেককে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

তিনি মনে করেন, তিনটি পদ্ধতি মেনে চললে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব। প্রথমত, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। প্রত্যেককে এটি মানতে হবে। দ্বিতীয়ত, মাস্ক সব সময় পরতে হবে। ঘরে-বাইরে যথা সম্ভব মাস্ক পরতে হবে। তৃতীয়ত, আসন্ন ঈদুল ফিতরে যতটা সম্ভব বাড়ির বাইরে বের না হওয়া। সম্ভব হলে ভ্যাকসিন নিয়ে নিতে হবে।

সতর্ক করে অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, গত বছর একটি পরিবারে একজনের বেশি করোনা আক্রান্তের ঘটনা দেখা যায়নি। গত বছর জুন-জুলাইয়ে সর্বোচ্চ মৃত্যু ছিল ৬৮ জন, ডিসেম্বরে ৪০ জনে নেমে এসেছিল। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে করোনায় মৃত্যুহার তিনে নেমে এসেছিল, আক্রান্তের হার ছিল ৩০০-এর নিচে। এরপরই মানুষ অনেকটা অসচেতন হয়ে যায় এবং স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে উদাসীনতা দেখাতে শুরু করে। ফলে সংক্রমণ আবার বাড়তে থাকে।

তিনি আরও বলেন, পার্শ্ববর্তী ভারতে করোনা যে ভ্যারিয়েন্ট এসেছে, সেটি খুবই ছোঁয়াছে এবং চার থেকে পাঁচশ’ গুন সংক্রমণ বাড়াতে পারে। এটির প্রবেশ ঠেকাতে সরকার সীমান্ত বন্ধ রেখেছে। তারপরও আমাদের সতর্ক হতে হবে। সতর্ক না থাকলে পরিস্থিতি খুবই মারাত্মক হতে পারে। ভারত থেকে আসলে থানায় জানিয়ে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে হবে। এসব করা গেলে বাংলাদেশে থেকে করোনার প্রভাব কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।


আরও দেখুন: