শিশুর শ্বাসকষ্টের ভুল চিকিৎসার পরিণতি ক্রনিক অ্যাজমা
মে মাসের প্রথম মঙ্গলবার বিশ্ব অ্যাজমা দিবস পালন করা হয়। সমাজে অ্যাজমা নিয়ে যে প্রচলিত কুসংস্কার বা ভুল ধারণা আছে, সেখান থেকে যাতে বেরিয়ে আসা যায় সেটাই হয়ে থাকে অ্যাজমা দিবসের প্রতিপাদ্য।
ডক্টর টিভি’র সুস্বাস্থ্যে রমাদান অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষে ‘শিশুদের অ্যাজমা: প্রতিকার ও প্রতিরোধ’ বিষয়ে আলোচনা হয়।
এতে অংশ নেন ঢাকা শিশু হাসপাতালের রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. কামরুজ্জামান কামরুল এবং শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. তাহমিদা হক।
ডা. তাহমিদা হক বলেন, অনেক অ্যাজমা রোগী আছেন যারা চিকিৎসা ঠিকমতো নেয় না বা ভুল মানুষের কাছে চিকিৎসা নেয়। অনেকের অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্ঠ আছে, কিন্তু তারা যাচ্ছে কবিরাজের কাছে। ফলে এখানে ভুল চিকিৎসা হয়। সেখানে যেসব ওষুধ দেওয়া হয়, শিশুর ওপর তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে বিরূপ প্রভাব পড়ে। ফলে তার অ্যাজমা তো নিয়ন্ত্রণে আসেই না বরং তার এটা ক্রনিক অ্যাজমাতে পরিণত হয়।
তিনি বলেন, আমরা যদি একটা শিশুকে সমন্বিত চিকিৎসা দিতে পারি, তাহলে অবশ্যই তার অ্যাজমা রোগটি নিয়ন্ত্রণে থাকবে, সে ভালো থাকতে পারবে, স্কুলে যেতে পারবে, খেলাধুলা করতে পারবে। সে একটা সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবে।
অ্যাজমা রোগ প্রসঙ্গে ডা. কামরুজ্জামান বলেন, অ্যাজমা হলো শ্বাসনালীর রোগ। এটা সাধারণত শিশু এবং বয়স্ক সবারই হতে পারে। মেডিকেলের ভাষায় এটাকে বলা হয় ক্রনিক ডিজিস। আমাদের যে শ্বাসনালী আছে এটা সরু করে দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাসের যে কষ্ট হয় সেটাই অ্যাজমা। শ্বাসনালীর ভেতরে যে মাসল আছে, সেটা রেস্পন্সিবিলিটি কমিয়ে দেয় যার কারণে এই শ্বাসকষ্ট হয়। এটা মানুষের শ্বাসতন্ত্রের রোগ।
শিশুদের অ্যাজমা প্রসঙ্গে ডা. তাহমিদা হক বলেন, শিশুদের অ্যাজমা রোগটি কোনোভাবেই সাধারণ রোগ নয়। যে সব পরিবারে অ্যাজমার ইতিহাস আছে, সেখানে তাদের শিশুদের অ্যাজমা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার যেসব বাচ্চাদের অ্যালার্জি আছে, তাদেরও অ্যাজমা হওয়ার ঝুঁকি বেশি।