যে কারণে হেপাটাইটিস-বি টিকা নেওয়া জরুরি
বাংলাদেশে হেপাটাইটিস সংক্রমণকে এক নীরব ঘাতক হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ, সংক্রমিত ১০ জনের মধ্যে নয়জনই জানেন না যে শরীরে এই ভাইরাস তারা বহন করছে।
হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসের সংক্রমণ দীর্ঘস্থায়ী হয় যা থেকে লিভারের কার্যক্ষমতা হ্রাস, লিভার ক্যানসার অথবা লিভার সিরোসিসও হতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ২০১৮ সালের এক হিসাবে দেখা যায়, বাংলাদেশে হেপাটাইটিস-বি ও সি ভাইরাসে প্রায় এক কোটি মানুষ আক্রান্ত। বেসরকারি হিসাবে হেপাটাইটিসে দেশে প্রতি বছর ২০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।
এই নীরব ঘাতক প্রতিরোধে টিকা নেওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যায়ের (বিএসএমএমইউ) রিউমাটোলজি বিভাগের চেয়াম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক।
ডক্টর টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস থেকে ক্রোনিক হেপাটাইটিস, লিভার সিরোসিস এবং লিভারের ক্যানসার হতে পারে। তবে দেখা গেছে, যারা হেপাটাইটিস-বি টিকা নিয়ে থাকেন তাদের হেপাটাইটিস-বি সংক্রমণের হারটা অনেক কম।
অধ্যাপক আতিকুল হক বলেন, কেউ আক্রান্ত হবে না এমন ধারণা ঠিক নয়। কিন্তু যারা আক্রান্ত হন তাদের হারটি অনেক কম এবং তাদের ক্ষেত্রে হেপাটাইটিস-বি’র যে দীর্ঘমেয়াদি জটিলতাগুলো- ক্রোনিক হেপাটাইটিস, লিভার সিরোসিস এবং লিভারের ক্যানসার এগুলো তাদের হয় না।
তিনি বলেন, যে কারণে পৃথিবী হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসকে ভয় পেতো, টিকা সেই কারণ থেকে রক্ষা করছে। একজন মানুষ হেপাটাইটিস-বি সংক্রমিত হয়ে কয়েক দিন জন্ডিস হয়ে ঘরে আটকা পড়ে যাওয়াটা কিন্তু বড় সমস্যা নয়। বড় সমস্যা ছিল তার ক্রোনিক হেপাটাইটিস, লিভার সিরোসিস এবং লিভারের ক্যানসার হওয়া। এই টিকা সেটা নিশ্চিতভাবে প্রতিহত করছে।