টিকা নেওয়ার পর আক্রান্তদের করোনার তীব্রতা কম
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) টিকার প্রথম ডোজ নিয়েও অনেকে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন এমন ঘটনা ঘটছে। ফলে টিকার কার্যকরিতা নিয়ে অনেক সংশয়ে পড়েছেন। টিকা নেবেন কিনা এমন দ্বিধাও কারও কারও।
তবে টিকা নিয়ে আক্রান্তদের করোনার তীব্রতা অন্যদের চেয়ে কম বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) রিউম্যাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক।
ডক্টর টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি- করোনা টিকা নেওয়ার পরে অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। কিন্তু করোনায় আক্রান্ত হলেও তাদের কিন্তু তীব্র করোনা হচ্ছে না।’
অধ্যাপক আতিকুল হক বলেন, ‘আমার একটা ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ আছে- টিকা নেওয়ার পরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে যারা সিটি স্ক্যান করাতেন, তাদের রিপোর্ট আসছে ফুসফুস পুরোপুরি পরিষ্কার। আর এই চিত্র পাচ্ছি- শুধু যারা টিকা নিয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে। কিন্তু যারা টিকা নেননি, তাদের ক্ষেত্রে তীব্র কোভিড পাওয়া যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘টিকার প্রথম ডোজটা পুরোপুরি সুরক্ষা দেয় না। দ্বিতীয় ডোজটা দেওয়ার পরে পুরোপুরি সুরক্ষা দেয়। করোনাভাইরাসের যতো টিকা আছে সবগুলোর জন্য এটা সত্য যে, দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার দুই সপ্তাহ পর থেকে সত্যিকার সুরক্ষা হয়।’
এই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘আমাদের দেশে দক্ষিণ আফ্রিকার ধরনটা অন্তত ঢাকা শহরে প্রাধান্য বিস্তারকারী ধরন। এই ধরনের বিপক্ষে টিকা কাজ কম করে। কিন্তু গবেষণায় দেখা যাচ্ছে- মৃদু এবং মাঝারি সংক্রমণের বিপক্ষে কম কাজ করে। তবে, তীব্র কোভিডের ক্ষেত্রে সেই সুরক্ষা অনেক বেশি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের হাতে একটা টিকা আছে। যে টিকাটি গত বছরের সংক্রমণের বিরুদ্ধে যতটা কাজ করতো, সেটি এই বছরের সংক্রমণের বিরুদ্ধে তেমনটা কাজ করছে না। তাই বলে কি আমরা টিকা নেবো না? এখন তো আমাদের হাতে ভিন্ন কোনো জিনিস নাই।’
অধ্যাপক আতিকুল হক বলেন, ‘আমরা যদি মোটেও টিকা না নেই এবং আমরা যদি করোনার নতুন ধরনে আক্রান্ত হই এবং তা থেকে যদি আমাদের তীব্র করোনা হয়, তাহলে সেটা আমাদের জন্য আরও বেশি ভয়ঙ্কর হবে।’
করোনাভাইরাস নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ লেখাসমূহ
► করোনার ‘বাংলাদেশি ধরনের’ ইঙ্গিত
►টিকা নেওয়ার পর আক্রান্তদের করোনার তীব্রতা কম
►সংক্রমণে ব্রাজিলকে পেছনে ফেলল ভারত