করোনায় চর্মরোগ, জেনে নিন চিকিৎসকের পরামর্শ

2021-04-02 06:03:46
করোনায় চর্মরোগ, জেনে নিন চিকিৎসকের পরামর্শ

বিশ্বকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে করোনাভাইরাস। নতুন এ মহামারীতে প্রত্যেক দিন শত শত মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। আক্রান্তরা নানা শারীরিক ও মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এর মধ্যে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি-কাশি, মুখের স্বাদ চলে যাওয়া খুবই সাধারণ। তবে এর বাইরেও আক্রান্তদের অনেকে চর্মরোগের কথা বলছেন।

কিন্তু সত্যিই কি প্রাণঘাতী করোনার প্রভাব স্কিনে পড়ে, পড়লে তা কেমন এবং কীভাবে তা থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব, তা জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমএমএমইউ) সাবেক উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, যিনি নিজেও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। গুণী এ চিকিৎসক জানান, এখনো করোনাকে জানা শেষ হয়নি। এটি নিজে থেকে স্কিনে চুলকানি, একজিমা, চামড়া শুষ্ক হওয়ার মতো কিছু সমস্যা তৈরি করে। এর বাইরে সুরক্ষা পণ্য ব্যবহারে নাক-মুখে দাগ হতে পারে। আপাতত এ সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে ঘন ঘন সুরক্ষা সামগ্রী পরিবর্তন করতে হবে। পাশাপাশি এন্টি হিস্টামিন খাওয়া যেতে পারে। সাময়িকভাবে ট্যাক্রোলিমাস বা প্রিট্যাক্রোলিমাস ব্যবহার করা যেতে পারে। মুখের ক্ষেত্রে মাইল্ড স্টেরায়েডও ভালো কাজ দেবে বলে মনে করেন তিনি।

অধ্যাপক শহীদুল্লাহ পরামর্শ দেন, স্যানিটাইজার বা গ্লাভস ব্যবহারে কোনো সমস্যা দেখা দিলে যেসব পণ্য বাদ দেওয়া জরুরি। এতেও সুফল না মিললে পানি দিয়ে পরিষ্কার এবং কম ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করতে হবে। সমস্যা জটিল আকার নিলে মাইল্ড স্টেরয়েড; গুরুতর হলে পোটেন স্টেরয়েড ব্যবহার করতে হবে। খাওয়ার উপযোগী স্টেরয়েডো নেওয়া যেতে পারে। সাথে ফেক্সো, ফেনাডিন, মন্টিলুকাস জাতীয় এন্টি হিস্টামিন খেতে হবে।

তবে মনে রাখতে হবে করোনাকালে যতটা কম পারা যায় সরাসরি চিকিৎসকের কাছে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। বাসায় বসে টেলিমেডিসিনের সহায়তা নিতে হবে। তবে চর্মরোগের কিছু জরুরি উপসর্গ রয়েছে, যেমন গা ফুলে যাওয়া, নিঃশ্বাস নিতে অস্বস্তি, মুখে আলসার এমনকি ওষুধের বিক্রিয়ায় শরীরে বিভিন্ন স্থানে আলসার হলে, রোগীকে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

করোনা এমন একটি অসুখ, যা রোধে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো জরুরি। ফলে এমন কোনো ওষুধ কিংবা কেমো থেরাপি দেওয়া উচিত নয়, যাতে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। বিশেষ করে শরীরের চামড়া খসে পড়া, গা লাল হয়ে ফুলে যাওয়া এবং বুলাস ডিজিজের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। চিকিৎসকদের আরও সতর্ক ও যত্নশীল হতে হবে বলে মনে করেন অধ্যাপক শহীদুল্লাহ।


আরও দেখুন: