gafava

ডা. মেহনাজ রহমান
2020-12-22 01:11:28
gafava

শিশু রক্তরোগ ও ক্যান্সার বিভাগ জাতীয় গবেষণা ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ রাশেদ জাহাঙ্গীর কবির।ল কর্মরত আছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মেহনাজ রহমান।
ডক্টর টিভিঃ স্যার! ডক্টর টিভির আজকের এই আয়োজনে আপনাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কেমন আছেন?
অধ্যাপক ডাঃ জাহাঙ্গীর কবিরঃ আলহামদুলিল্লাহ। ভালো আছি। আপনাকে ধন্যবাদ এবং যারা এই অনুষ্ঠান দেখছেন তাদের সবাইকে শুভেচ্ছা।
ডক্টর টিভিঃ স্যার! প্রথমে আমি বলব আজকের বিষয় যেহেতু ক্যান্সার নিয়ে তাই আমাদের সবার প্রথমে জানা উচিৎ কি কি ধরনের ক্যান্সার হতে পারে বা কি কি ধরনের ক্যান্সারের সাথে আমরা পরিচিত?
অধ্যাপক ডঃ জাহাঙ্গীর কবিরঃ ধন্যবাদ আপনাকে। আমরা আজকে শিশুদের ক্যান্সার নিয়ে আলোচনা করব। শিশুদের ক্যান্সার অনেক ধরনের হতে পারে যেমন ব্লাড ক্যন্সার, হাড়ে ক্যান্সার ( অষ্ট সারকোমা), ব্রেন ক্যান্সার, মাংস পেশির ক্যান্সার (একুইডাপ্টেমা সারকোমা) বাচ্চার কিডনিতে ক্যান্সার( নেফ্র ব্লাস্ট্রোমা) চোখে ক্যন্সার ( রেটিনো ব্লাস্ট্রোমা), জনন কোষের ক্যান্সার (জান্সেল টোমার)। এখানে আবার মেয়ে বাচ্চা ও ছেলে বাচ্চাদের আলাদা আলাদা নাম আছে। তাছাড়া আরো অনেক ধরনের ক্যান্সার যা অল্প পরিমাণে হয়। যেমন লিম্প নুডের ক্যান্সার যা আমরা লিম্পুমা বলি এটা আমাদের কমন একটা ক্যান্সার লিম্পুমা। এইতো, মোটামুটি এই ক্যান্সার গুলো কমন তাছাড়া ছোটখাটো অনেক ক্যান্সার হয়।
ডক্টর টিভিরঃ ধন্যবাদ স্যার। এবার জানতে চাই কী কারণে শিশুরা ক্যান্সারের সম্মুখীন হয়?
অধ্যাপক ডঃ জাহাঙ্গীর কবিরঃ ক্যান্সারের সঠিক কারণ আসলে জানা যায় না। বেশিরভাগ ক্যন্সার অজানা। কারণ তবে কিছু কিছু পরিমাণে আমরা দেখি জেনেটিক ডিসঅর্ডার। ডিসঅর্ডারের কারণে ক্যান্সার হতে পারে। তাছাড়া কিছু ডাই আছে, কিছু ড্রাকস আছে, রেডিয়েশন আছে এই ধরনের কারণেও ক্যান্সার হতে পারে।
ডক্টর টিভিঃ জি। এবার জানতে চাই, ক্যান্সারের লক্ষ্মণগুলো কী কী?
অধ্যাপক ডঃ জাহাঙ্গীর কবিরঃ জি। একেক টা ক্যান্সারের একেক ধরনের লক্ষ্মণ হতে পারে। যেমন ব্লাড ক্যান্সারের এক ধরনের লক্ষ্মণ। আমাদের বাচ্চাদের স্বাধারণত ব্লাড ক্যান্সারটা কমন। এ ধরনের ক্যান্সারে আসলে বাচ্চাদের জ্বর হয়। সাধারণ জ্বরটা অন্যান্য রোগের মত ওষুধ খেলে কমে যায় তবে এই ক্যান্সার টা ওষুধে কমে না। তারপরে বাচ্চাদের খাওয়া কমে যাবে, শরীর সাদা হয়ে যাবে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থান থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে। তাছাড়া বিভিন্ন গ্ল্যান ফুলেও যেতে পারে। এসবই আসলে ব্লাড ক্যান্সারের প্রধান কারণ। এছাড়া অন্যান্য ক্যান্সারের ক্ষেত্রে যে ক্যান্সার হয় সে ধরনের কারণ নিয়ে আসে। আবার চোখের ক্যান্সারের ক্ষেত্রে শিশুর জন্মের পরপরই এই ক্যান্সার দেখা যায় অথবা জন্মের ২ মাস পর দেখা যেতে পারে। এখানে বাচ্চাদের চোখ অন্ধকারে জ্বলতে থাকে। তখন মা'য়েরা হয়তো চিন্তা পড়ে যায় যে, কেন বাচ্চাদের চোখ জ্বলতে থাকে! আর একেই বলে ক্যাফ সাইড রিপ্লেক্স। এই ধরনের ক্যাফ সাইড রিপ্লেক্সর কারণে বাচ্চাদের চোখ অন্ধকারে জ্বলতে থাকলে অবশ্যই চোখের ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।। তাছাড়া এমনও হয় শরীরের কোন না কোন অংশ ফুলে যায়। সেই ফুলাটা কোন আঘাতজনিত কারণে বা কোন এক্সিডেন্টের কারণে আবার অথবা কোনো ব্যাথার কারণেও হয়নি। এমন হলে এটা একটা ক্যান্সারের লক্ষ্মণ হিসেবে ধরা হবে। এসবই আসলে ক্যান্সারের লক্ষ্মণ। তাছাড়া স্বাধারণত ক্যান্সারের লক্ষ্মণ হলো- শরীর সাদা হয়ে যাওয়া। যাকে আমরা এনিমিয়া বলি। তাছাড়া শরীর শুকিয়ে যাওয়া, ওজন কমে যাওয়াও ক্যান্সারের লক্ষ্মণ এবং এটাকে আমরা এনোরেকশিয়া বলে থাকি। এনোরেকশিয়া হচ্ছে, একেবারে না খাওয়া বা খাওয়া কমে যাওয়া। এসব যেকোনো কারণে যদি বাচ্চাদের এইরকম সমস্যা হয় সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত।
ডক্টর টিভিঃ ধন্যবাদ স্যার। বেশিভাগ ক্ষেত্রে আমরা কোন ধরণের ক্যান্সারের মুখোমুখি হয় অথবা কোন ধরনের ক্যান্সারের আপনার কাছে বেশি আসে?
অধ্যাপক ডাঃ জাহাঙ্গীর কবিরঃ শিশুদের ক্যান্সারের কমন একটা ক্যান্সার হচ্ছে ব্লাড ক্যান্সার। একে বলে লিউকেমিয়। সাধারণত শতকরা ২৫-৩৫% ব্লাড ক্যান্সার দেখা যায়। আর তাছাড়া ব্রেন ক্যান্সার টা সেকেন্ড কমন, লিম্পুমা থার্ড কমন। এছাড়া রেটিনো ব্লাস্টুমা, নিউরো ব্লাস্টুমা, পুলিস্টুমার মোটামুটি এগুলো সব ৩-৪% করে হয়।
ডক্টর টিভিঃ স্যার! কোন পর্যায়ে আসলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত?
অধ্যাপক ডাঃ জাহাঙ্গীর কবিরঃ ক্যান্সারের লক্ষ্মণ দেখা যাওয়া মাত্রই এবং কোন ডাক্তার যদি বলে যে আপনার ক্যান্সারের মতন মনে হচ্ছে তখনই ক্যান্সারের ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। আমাদের বাচ্চাদের ক্যান্সার বেশি হয়। সাধারণত এটি মানুষ বিশ্বাস করতে চায় না। যখনই কোন ডাক্তার বা কেউ বলে আপনার বাচ্চার ক্যান্সারের মতন মনে হচ্ছে তখনই অভিভাবকরা তা বিশ্বাস করতে চাই না। তখন সে ক্যান্সার হয়নি এই কথাটা শুনার জন্য বিভিন্ন জায়গায় ছোটাছুটি করে। কিন্তু এ ছোটাছুটি করতে গিয়ে ক্যান্সার স্টেপ ওয়ান থেকে একদম স্টেপ থ্রি বা ফোর চলে যায়। তখন আর চিকিৎসার আওতায় থাকেনা। যেখানে যেকোনো অভিভাবকদের যখনি মনে হবে বা কেউ বলবে যে ক্যান্সারের লক্ষ্মণ মনে হচ্ছে অবশ্যই তখন বিশ্বাস করতে হবে। যে বাচ্চাদের ক্যান্সার হয় এবং এর চিকিৎসা আছে তাদের চিকিৎসা করলে ভালো হয়। এ জিনিসটা প্রতিটা অভিভাবকদের বিশ্বাস করতে হবে। তাহলে আমরা বাচ্চাদের ক্যান্সারকে অনেকটা তাড়াতাড়ি ভালো করতে পারব এবং যত আগে আসবেন তত তাড়াতাড়ি ভালো হবে।
ডক্টর টিভিঃ ধন্যবাদ স্যার। যেহেতু আপনি বলছিলেন যে ব্লাড ক্যান্সারের শতকরা হার টা বেশি। তাই জানতে চাই ব্লাড ক্যান্সারটা কেন হয়ে থাকে?
অধ্যাপক ডাঃ জাহাঙ্গীর কবিরঃ ক্যান্সারের কারণ গুলো আমি আগেই বলেছি মোটামুটি একই রকম কারণ। ক্যান্সারের সঠিক কোনো কারণ জানা যায় না বেশিরভাগ জেনেটিক ডিসঅর্ডারের হয়। এ কারণে বাচ্চাদের কান্সারের প্রি পেপারেশন ও করা যায় না। যদি ক্যন্সারের জন্য বাচ্চাদের সঠিক ভাবে চিকিৎসা নেওয়া যায় তাহলে ৮০% এর উপরে ভালো হয় তবে চিকিৎসার কোনো বিকল্প নেই এবং আমাদের দেশে চিকিৎসা টা আছে এবং সরকারি ভাবেও বিনা পয়সায় চিকিৎসা টাও পাওয়া যায়।
ডক্টর টিভিঃ স্যার! যেহেতু জেনেটিক ডিস অর্ডারের কারণে ক্যান্সার হয় তবে যদি পরিবারের কোন সদস্যের ক্যান্সার থাকে তাহলে তার বাচ্চা-কাচ্চাদেরও ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমতবস্থায় আমরা কী প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিতে পারি?
অধ্যাপক ডাঃ জাহাঙ্গীর কবিরঃ
কোন পরিবারে ক্যান্সার থাকলে সেই পরিবারে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা আছে আর একে বলে লি ফ্রমেনি সিনড্রোম। এক্ষত্রে একটা জিন আছে বি৫৫ জিন। এই জিনটাই এবনরমাল জিন হয়। এ কারণে হয়তো কোন পরিবারে ক্যান্সার থাকলে ব্রেষ্ট ক্যান্সার, স্ট্রোমাকে ক্যান্সার আবার কারো লিউকিমিয়া হতে পারে এবং অষ্ট সারকোলাও হতে পারে। পরিবারের যেকোনো সদস্যের বিভিন্ন রকমের ক্যান্সার হতে পারে যদি এই জেনেটিক এবনরমালিস্ট টা থাকে। একে প্রতিরোধ করার কিছু নেই এটা যদি জেনেটিক এবনরমালিস্টের জন্য হয়।
ডক্টর টিভিঃ স্যার! শিশুদের ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য আমাদের দেশে কি কি ব্যবস্থা আছে সে সম্পর্কে যদি একটু বলতেন?
অধ্যাপক ডাঃ জাহাঙ্গীর কবিরঃ
ক্যান্সার চিকিৎসা আসলে তিনটা। ক্যামোথেরাপি, রেডিওথেরাপি, সার্জার। এখন আমাদের ব্লাড ক্যান্সারের জন্য লাগে ক্যামোথেরাপি। আর ক্যামোথেরাপির পুরোপুরি ব্যবস্থা টা আমদের দেশে আছে এবং সম্ভব। আমাদের সরকারি পর্যায়ে দেখা যায় যায় যে অনেক সময় ফ্রি ওষুধের ব্যবস্থা ও আছে। তাছাড়া ব্রনমার ট্রানফামেশন একটা ফাইনাল চিকিৎসা। এটা আমাদের দেশে চালু হয়েছে। তবে পুরোপুরি ভাবে হয়নি। তবে হয়তো অদূর ভবিষ্যতে আমরা সামনে দিনগুলোতে এটার ব্যাপারে শুরু করে দিব।
ডক্টর টিভিঃ স্যার! প্রথমে কী কেমোথেরাপি তে চলে যাওয়া উচিৎ নাকি প্রাথমিকভাবে কোন চিকিৎসা আছে বা অন্য কোনো ওষুধ বা অন্য কোন জিনিস ফলো করতে পারি?
অধ্যাপক ডাঃ জাহাঙ্গীর কবিরঃ হ্যাঁ! কেমোথেরাপিটাই ওষুধ। ক্যান্সার চিকিৎসা ডায়াগনস্টিক করলে কেমোথেরাপি দিতে হবে। এটাই তার চিকিৎসা আর সাপোর্টিভ। কিছু আছে যেমন ব্লাড ট্রান্সফেসন দিতে হতে পারে, প্লাটিলেট ট্রান্সফেসন, কিছু স্যালাইন লাগে, এন্টিবায়োটিকস লাগে, এন্টিফাকার, এন্টিভাইরাল এসব ওষুধ লাগতে পারে। এসবই সাপোর্টিভ ট্রিটমেন্ট। কিন্তু মেইন ট্রিটমেন্ট হচ্ছে কেমোথেরাপি।
ডক্টর টিভিঃ স্যার! আমাদের দেশে অনেক সময় দেখা যায় পাশের দেশ বা দূরের দেশে যাচ্ছে চিকিৎসার জন্য কিন্তু আমাদের দেশে এখন অনেক আধুনিক চিকিৎসা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য আমাদের দেশের মানুষরা দেশের চিকিৎসা সেবা নিতে পারেনা?
অধ্যাপক ডাঃ জাহাঙ্গীর কবিরঃ অবশ্যই সমস্ত সুযোগ সুবিধা আছে। আমাদের দেশের হাসপাতালেই প্রচুর রোগী আছে এবং চিকিৎসা পাচ্ছে। এমনকি ভালোও হচ্ছে। হয়তো খুব অল্প পরিমাণে রোগী যাচ্ছে। যেমন হার্টের রোগী চিন্তা করি। একসময় হার্টের রোগী হলেই বিদেশে যেত। এখন কি যাচ্ছে? এখন যাচ্ছে না। সেইরকম হবে হয়তো। দুই এক বছর পরে ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য আর কেউ বিদেশে যাবেনা। আমাদের দেশেই সম্ভব এবং ইতোমধ্যে আমরা করছি বা সবধরনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
ডক্টর টিভিঃ স্যার! অনেক ধরণের ক্যান্সারের কথা আপনি বলেছেন। শিশুদের ক্ষেত্রে ঐ সবধরনের ক্যান্সারের চিকিৎসা কী একই রকম হবে?
অধ্যাপক ডাঃ জাহাঙ্গীর কবিরঃ একেকটা ক্যান্সারের চিকিৎসা একেক রকম। যেমন আমি রেটিনো ব্লাস্টোমারের কথা বলি। প্রথমে ব্যক্তি চোখের ডাক্তারের কাছে যাবে। চোখের ডাক্তার ডায়াগনোসিস করবে এবং যদি অপারেশনের মতন হয় অপারেশন করবে আর তা না হলে আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিবে। আমরা কেমোথেরাপি দিব এবং পরবর্তীতে প্রয়োজন হলে অপারেশনের জন্য আবার আমরা চোখের ডাক্তারের কাছে পাঠাব এবং রেডিওথেরাপি প্রয়োজন হলে রেডিওথেরাপি দিব। সেইরকম প্রতিটি ক্যান্সারের তিনটা গ্রুপ আছে। একটা কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি ও সার্জারী। একেকটা রোগী একেক ভাবে আসে কোনো সময় হয়তো সার্জারী আগে লাগে অথবা কেমোথেরাপি আগে লাগে কখনো রেডিওথেরাপি আগে লাগে আবার কম্বিনেশন ও লাগতে পারে। কারো হয়তো কোনটাই লাগেনা কিন্তু কেমোথেরাপি সবারই লাগে।
ডক্টর টিভিঃ যদি কোন রোগীর ক্যান্সার হয় আর যদি সে উপর্যুক্ত ট্রিটমেন্ট পায় তাহলে পরবর্তীতে তার কি ধরনের সচেতনেতা অবলম্বন করা উচিৎ বা আদৌ কি তার আবার ওষুধের মধ্যে থাকতে হবে কিনা?
অধ্যাপক ডাঃ জাহাঙ্গীর কবিরঃ কেমোথেরাপির একটা প্রটোকল থাকে। এই প্রটোকল টা কমপ্লিট করতে হবে এবং পরবর্তীতে যখন ইম্প্রুভমেন্ট করবে তখন তাকে আমরা ফলোআপে রাখব। তাকে আমরা ফলোআপে রাখি এবং পরবর্তীতে পাঁচ বছর তাদেরকে ফলোআপে থাকতে হবে। এই পাঁচ বছর রেগুলার আমাদের কাছে আসবে এবং চেকিং করাতে হবে। তারপরও যদি সে একদম ভালো থাকে, পাঁচ বছর কোনো সমস্যা না হয় তখন তাকে আমরা ডিক্লার দিব রোগী এখন ক্যান্সার মুক্ত।
ডক্টর টিভিঃ স্যার! শিশুদের ক্ষেত্রে কি পরবর্তীতে আর কোন ভয় বা কোনো কিছু হতে পারে?
অধ্যাপক ডাঃ জাহাঙ্গীর কবিরঃ সেটা তো থেকেই যায়। কেননা ক্যান্সারের কারণের মধ্যে আমি বলছি কিছু ড্রাকস আছে কিছু রেডিয়েশন আছে। তাহলে এখানে ক্যান্সারের জন্য আমরা যেসব ড্রাক ব্যবহার করি সেসব ড্রাকের কারণে অনেক সময় ক্যান্সার হতে পারে। অতএব দেখা যায় যে পেশেন্ট হইতো একটা ক্যান্সার থেকে ভালো হল কিন্তু দশ পনের বছর পরে দেখা যায় যে সে আরেকটা ক্যান্সার নিয়ে আসতে পারে। আবার রেডিয়েশনের জন্য সাইড ইপেক্ট হিসেবে বা রকম ধরনের সাইড ইপেক্ট হতে পারে এরমধ্যে ক্যান্সারও একটা হতে পারে। তারমানে এটা সবার হবে এইরকম না দুই একজনের বা পরিমাণে খুব কম।
ডক্টর টিভিঃ এতো ব্যস্ততার পরেও আমাদের সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ স্যার।
অধ্যাপক ডাঃ জাহাঙ্গীর কবিরঃ আপনাকেও ধন্যবাদ। সেই সাথে ডক্টর টিভিকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি এরকম একটা আয়োজনে আমাকে আমন্ত্রণ করার জন্য।
ডক্টর টিভিঃ ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।
অনুলিখন: আজাদ আশরাফ


আরও দেখুন: