
ছবিঃ সংগৃহীত
নার্সিং খাতে কাঠামোগত সংস্কার ও পদোন্নতিসহ আট দফা দাবি বাস্তবায়নের চাপ বাড়িয়েছে নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ন্যাব)। দাবি পূরণে দেরি হলে সারাদেশে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) বেলা ১১টায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ন্যাবের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিলকিছ জাহান চৌধুরী আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দাবি জানানো হলেও কোনো বাস্তব সমাধান পাওয়া যাচ্ছে না। তাই আন্দোলন ছাড়া বিকল্প নেই।
সংগঠনটির আট দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—স্বতন্ত্র নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরকে অন্য কোনো দপ্তরের সঙ্গে একীভূত করার উদ্যোগ বন্ধ এবং জাতীয় নার্সিং কমিশন গঠন; প্রস্তাবিত নিয়োগবিধি, অর্গানোগ্রাম ও ক্যারিয়ার পাথ দ্রুত অনুমোদন; নবম থেকে চতুর্থ গ্রেড পর্যন্ত ধাপে ধাপে পদোন্নতি; নার্সিং সুপারভাইজার ও নার্সিং ইন্সট্রাক্টর পদ দশম গ্রেড থেকে নবম গ্রেডে উন্নীতকরণ।
এ ছাড়া ডিপ্লোমা নার্স-মিডওয়াইফদের সনদকে স্নাতক (পাস) সমমান ঘোষণা, সব গ্র্যাজুয়েট নার্সের জন্য প্রফেশনাল বিসিএস চালু, বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগবিধি ও বেতন কাঠামো প্রণয়ন এবং নিবন্ধনবিহীন বা অপ্রশিক্ষিত নার্স-মিডওয়াইফদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়। একইসঙ্গে ঝুঁকিভাতা প্রদান, বর্তমান নার্সিং ইউনিফর্ম পরিবর্তন এবং শয্যা রোগী–চিকিৎসকের অনুপাতে নার্স-মিডওয়াইফের প্রয়োজনীয় পদ সৃষ্টি ও নিয়োগের দাবিও তুলে ধরে ন্যাব।
বিলকিছ জাহান অভিযোগ করেন, ১৯৭৭ সালে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত স্বতন্ত্র নার্সিং প্রশাসনকে দুর্বল করার চেষ্টা চলছে। তিনি এটিকে জনস্বাস্থ্যবিরোধী উদ্যোগ দাবি করে অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ন্যাবের সহ-সভাপতি ফিরোজা খাতুন, জেসমিন আক্তার, মহাসচিব আকরাম আলী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মেরিনা খাতুন, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মিশর হোসেন, প্রচার সম্পাদক সালাহউদ্দিন আলম হোসেনসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন