
ছবিঃ সংগৃহীত
দেশে স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের নতুন সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্স (NHA)। সংগঠনটি তাদের স্লোগান ঘোষণা করেছে—“পেশার মর্যাদা, মানুষের স্বাস্থ্য, জাতির ভবিষ্যৎ।”
সংগঠনের নেতারা জানান, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা বর্তমানে গভীর সংকটে রয়েছে। চিকিৎসকরা কর্মস্থলে লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছেন, নার্সরা পাচ্ছেন না ন্যায্য বেতন, এবং ফার্মাসিস্ট, টেকনোলজিস্ট ও থেরাপিস্টরা কাজ করছেন নিরাপত্তাহীনতা ও অব্যবস্থাপনার মধ্যে। অন্যদিকে সাধারণ মানুষ ভুগছে চিকিৎসা ব্যয়, হয়রানি ও দুর্নীতির ফলে।
NHA বলছে, “ভাঙা কাঠামোর ওপর প্রলেপ নয়, প্রয়োজন এর পুনর্গঠন।” সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্যরা মনে করেন, এখনই সময় নতুন স্বাস্থ্যব্যবস্থা গড়ে তোলার এবং সকল স্বাস্থ্য পেশাজীবীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার। তারা উল্লেখ করেন, জুলাই গণবিপ্লবের মতো সাহস প্রয়োজন—এবার তা হবে একটি মানবিক ও দায়িত্বশীল স্বাস্থ্যব্যবস্থা গড়ার লড়াই।
সংগঠনের ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের হাতে নেই নীতিনির্ধারণী ভূমিকা, চিকিৎসকরা হামলা, মামলা ও অপমানের শিকার, সাধারণ রোগীরা দুর্নীতি ও অপচয়ের শিকার, শিক্ষার্থীরা পাচ্ছে না দক্ষ প্রশিক্ষণ বা ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা, এবং সেবা প্রদানকারীরা কাজ করছেন নিরাপত্তাহীনতায়।
NHA-এর ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, তারা এমন বাংলাদেশ চায় যেখানে নার্সদের চোখে থাকবে সম্মানের গর্ব, প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিশুও পাবে আধুনিক চিকিৎসা, এবং স্বাস্থ্যখাত হবে দুর্নীতি ও রাজনীতি মুক্ত। দেশের কোটি কোটি টাকা বিদেশে চিকিৎসায় হারানোর পরিবর্তে নিজেদের স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে উন্নত করা তাদের মূল লক্ষ্য।
সংগঠনটি মনে করছে, এটি শুধুই পেশাজীবীদের অধিকার রক্ষার সংগ্রাম নয়, বরং দেশের সার্বভৌমত্ব ও মানবিক মূল্যবোধ পুনর্গঠনের আন্দোলন। তাদের বার্তা, “জুলাই বিপ্লব আমাদের শিখিয়েছে—এই দেশ বদলায়, যদি মানুষ জেগে ওঠে।”
আরও পড়ুন