
ছবিঃ ডক্টরটিভি
আগামীকাল ১৩ নভেম্বর পালিত হবে “জাতীয় ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন দিবস ২০২৫”। এ উপলক্ষে আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ সোসাইটি অফ ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন (বিএসপিএমআর)।এতে বক্তারা দেশের ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন সেবার গুরুত্ব, বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন (PM&R) এমন একটি চিকিৎসা শাখা যা স্ট্রোক, দুর্ঘটনা, স্নায়ু ও পেশীজনিত অক্ষমতা, শিশুদের সেরিব্রাল পালসি এবং বয়স্কদের চলাচলজনিত সীমাবদ্ধতা-সহ বিভিন্ন শারীরিক প্রতিবন্ধকতায় আক্রান্ত রোগীদের পুনর্বাসনের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে কাজ করে।
Bangladesh Bureau of Statistics (BBS)-এর তথ্য অনুযায়ী দেশে প্রায় ৪৩ লাখেরও বেশি প্রতিবন্ধী ব্যক্তি রয়েছেন, প্রতি হাজার জনসংখ্যায় প্রতিবন্ধীর সংখ্যা ২৫.৫ জন। এছাড়া ষাটোর্ধ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা ভবিষ্যতে পুনর্বাসন সেবার চাহিদা আরও বাড়িয়ে তুলবে।
বক্তারা বলেন, প্রতিবন্ধীদের সেবা ও পুনর্বাসনে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এখনো অবকাঠামো ও জনবল ঘাটতি রয়েছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত থেরাপিস্ট ও আধুনিক সহায়ক প্রযুক্তির সীমাবদ্ধতা, তথ্য-পরিসংখ্যানের ঘাটতি এবং সামাজিক সচেতনতার অভাব এ খাতের বড় চ্যালেঞ্জ।
সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকরা বলেন, দেশের প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন ইউনিটকে আরও শক্তিশালী করা প্রয়োজন। পাশাপাশি পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রিহ্যাবিলিটেশন জনবল নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করা, জনসচেতনতা বৃদ্ধি, বিদ্যমান আইন বাস্তবায়ন ও প্রয়োজনীয় নতুন নীতিমালা প্রণয়নের ওপর গুরুত্ব দেন তারা। এ ছাড়া সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, জেলা-উপজেলা প্রশাসন, এনজিও ও সিভিল সোসাইটির মধ্যে সমন্বিত উদ্যোগ গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়। বক্তারা আরও বলেন, স্কুল, কলেজ, কর্মক্ষেত্র ও সড়ক-পরিবহনসহ সর্বত্র প্রতিবন্ধীবান্ধব “ইউনিভার্সাল ডিজাইন” নিশ্চিত করা সময়ের দাবি।
এ বছরের প্রতিপাদ্য— সম্বিত্বাসনে চাই সম্মিলিত প্রচেষ্টা
বক্তারা বলেন, “একটি দেশ তখনই প্রকৃত অর্থে উন্নত হয়, যখন সেখানে প্রতিবন্ধী মানুষের পুনর্বাসন, চিকিৎসা ও অন্তর্ভুক্তির পূর্ণ সুযোগ নিশ্চিত করা হয়।”
তারা গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেন, যাতে রিহ্যাবিলিটেশন সেবার গুরুত্ব ও সম্ভাবনা সম্পর্কে সমাজে ব্যাপক সচেতনতা তৈরি হয়।
আরও পড়ুন