মৃগীরোগে বিভ্রান্ত নয়, সচেতন হতে হবে

ডক্টর টিভি রিপোর্ট
2022-02-14 13:43:07
মৃগীরোগে বিভ্রান্ত নয়, সচেতন হতে হবে

দিবসটির প্রতিপাদ্য— ‘মৃগী রোগীদের জন্য বাড়িয়ে দেয়, ভালোবাসার হাত’।

আজ সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সারা বিশ্ব জুড়ে পালিত হচ্ছে বিশ্ব এপিলেপসি বা মৃগীরোগ দিবস। প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সোমবার এ রোগের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে দিবস পালন করা হয়। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য— ‘মৃগী রোগীদের জন্য বাড়িয়ে দেয়, ভালোবাসার হাত’।

সাধারণত মৃগী রোগ হলো— স্নায়ুতন্ত্রের একটি জটিলতা। এ রোগে ৪০টির বেশি নিউরোলজিক্যাল লক্ষণের মধ্যে খুব কমন হলো খিঁচুনি। আমাদের মস্তিষ্কের কোষগুলো পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে, যার ফলে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সচল থাকে। কিন্তু কোনো কারণে মস্তিষ্কের স্নায়ুতন্ত্রের উদ্দীপক ও নিবৃত্তিকারক অংশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গেলে মৃগী রোগের লক্ষণ দেখা দেয়।

মৃগীরোগ প্রতিরোধযোগ্য ও চিকিৎসাযোগ্য একটি অসুখ। যদিও আমাদের সমাজে রোগটি নিয়ে নানা বদ্ধমূল ধারণা রয়েছে। ফলে টোটকা চিকিৎসা করাতে গিয়ে সঠিকভাবে রোগটি নির্ণয় ও চিকিৎসা হয় না। কিংবা ভুল চিকিৎসার কারণে জটিলতা বেড়ে যায়। ফলে মৃগীরোগে বিভ্রান্তি না হয়ে, সচেতন হওয়ার আহ্বান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা।

271582950_9786567897

কীভাবে মৃগী রোগী চিহ্নিত করবেন

সুস্থ-স্বাভাবিক একজন ব্যক্তি হঠাৎ অস্বাভাবিকভাবে কাঁপুনি বা খিঁচুনির শিকার হন, চোখ-মুখ উল্টে ফেলেন কিংবা কোনো শিশুর চোখের পাতা স্থির হয়ে একদৃষ্টিতে চেয়ে থাকেন অথবা সুস্থ-সবল কেউ যদি অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করেন, প্রাথমিকভাবে তাকে মৃগী রোগ বলা যায়।

কখন বুঝবেন চিকিৎসা দরকার

১. খিঁচুনির স্থায়িত্ব পাঁচ মিনিটের বেশি হলে

২. রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দিলে

৩. রোগী এক নাগাড়ে বিভ্রান্ত কিংবা অচেতন থাকলে

৪. খিঁচুনির সময় রোগী কোনোভাবে আহত হলে

যা না জানলে বাড়বে বিপদ

১. মৃগী রোগীর খিঁচুনি নিয়ন্ত্রণ খুবই জরুরি এবং প্রাথমিক কাজ। কারণ এ থেকে বিপজ্জনক ও জটিল সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। প্রথমেই খিঁচুনি শুরুর কারণ খুঁজে বের করুন। খুব সাধারণ কারণগুলো হলো নিয়মিত ওষুধ না খাওয়া, মানসিক চাপ, খাওয়া-দাওয়ায় অনিয়ম, মদ্যপান, অনিদ্রা, উজ্জ্বল আলো, জোরে আওয়াজ ইত্যাদি।

২. প্রাথমিকভাবে মৃগী রোগী যেমন করছে, তেমনই করতে দিন

৩. রোগীকে জোরে ঠেসে ধরার কোনো প্রয়োজন নেই। এতে বরং রোগীর ক্ষতি হতে পারে

৪. রোগীর চারপাশে মানুষের ভিড় করা যাবে না

৫. রোগীকে ঘুমাতে দিতে হবে

৬. রোগীর আশপাশে কোনো ধারালো অস্ত্র, যন্ত্রপাতি কিংবা আগুনের মতো ক্ষতিকারক কিছু রাখা যাবে না

৭. রাস্তায় খিঁচুনি শুরু হলে পার্শ্ববর্তী নিরাপদ স্থানে নিয়ে যেতে হবে

৮. মাথা পাশ ফিরিয়ে এবং সামান্য নিচের দিকে হেলান দিয়ে রাখতে হবে, যাতে ঠিকমতো শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারে এবং মুখ থেকে ফেনা বা লালা গড়িয়ে পড়তে পারে

৯. ১০ মিনিটের মধ্যে ঠিক না হলে অবশ্যই নিকটস্থ হাসপাতাল বা ক্লিনিকে নিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখাতে হবে


আরও দেখুন: