নার্সিংয়ে পিএইচডি প্রদানে নীতিগত সিদ্ধান্ত প্রয়োজন : ইউজিসি
ইউজিসি কার্যালয়ে প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন কোইকা প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশে গুণগত নার্সিং শিক্ষার এবং এ খাতে দক্ষ জনবলের ঘাটতি রয়েছে। উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হলে এ খাতে আরও বেশি নজর দিতে হবে। নার্সিং বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি চালু করতে হলে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। শুক্রবার (১ নভেম্বর) ইউজিসির কার্যালয়ে প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন কোইকা প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দলকে জানান, এ বিষয়ে কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (কোইকা) প্রস্তাব বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। পিএইচডি ডিগ্রি চালু করার ব্রাপারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সাথে কথা বলে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
আনোয়ার বলেন, স্বাস্থ্যখাতে নার্সদের ব্যাপক অবদান রয়েছে। তাদের পেশাগত দক্ষতা অর্জনে উচ্চশিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। স্বাস্থ্য সেবা উন্নত করতে হলে এ খাতে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ বৃদ্ধি করা উচিৎ। দক্ষ নার্স তৈরি হলে দেশে-বিদেশে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
কোইকার প্রতিনিধি প্রফেসর থেহুয়াহ লি দেশের নার্সিং শিক্ষা ও গবেষণার ওপর একটি সার্ভে রিপোর্ট তুলে ধরেন এবং জাতীয় নার্সিং উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (নিয়ানার)-এর মাধ্যমে বাংলাদেশে নার্সিং বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি চালুর দাবি জানান।
তিনি বলেন, নার্সিংয়ের শিক্ষকদের পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করা হলে এ খাতের শিক্ষা ও গবেষণা খাত বেগবান হবে। পিএইচডি ডিগ্রি চালুর বিষয়ে তিনি একটি নীতিমালা তৈরির ওপর গুরত্বারোপ করেন।
ইউজিসির প্রফেসর তানজীমউদ্দিন খান বলেন, কোন বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি চালু করতে হলে জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার ও মান নিশ্চিত করার দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন।
কমিশনের অতিরিক্ত পরিচালক জেসমিন পারভীন, যুগ্ম-সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মুহম্মদ নাজমুল ইসলামসহ ইউজিসি’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। দেশে বর্তমানে নার্সিং বিষয়ে ডিপ্লোমা, বিএসসি ও এমএসসি ডিগ্রি চালু রয়েছে।