স্পাইনাল কর্ড ইনজুরি দিবস আজ

ডক্টর টিভি রিপোর্ট
2024-09-05 12:39:00
স্পাইনাল কর্ড ইনজুরি দিবস আজ

স্পাইনাল কর্ড ইনজুরি

আজ ৫ সেপ্টেম্বর, স্পাইনাল কর্ড ইনজুরি দিবস। মানুষের মধ্যে মেরুদণ্ডের আঘাতের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে দিবসটি পালিত হয়। স্পাইনাল ইনজুরিকে বাংলায় বলে মেরুদণ্ডে আঘাত। এর মধ্যে রয়েছে কশেরুকা ভেঙে যাওয়া ও স্থানচ্যুত হওয়া। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, যদি কারো স্পাইনাল ইনজুরি হয় তাহলে সবচেয়ে বড় যে ঝুঁকি থাকে তা হলো তার স্পাইনাল কর্ড অস্থায়ী বা স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। যদি সে রকম কিছু ঘটে তাহলে আঘাতের স্থানের নিচ থেকে রোগীর শরীর প্যারালাইসড বা অসাড় হয়ে যায়।

 

স্পাইনাল ইনজুরির সবচেয়ে সাধারণ কারণের মধ্যে রয়েছে প্রবল ধাক্কা, তীব্র মোচড়ানো, কিংবা সামনে বা পেছনের দিকে বেঁকে যাওয়া। এছাড়াও বিভিন্ন দুর্ঘটনায় স্পাইনাল ইনজুরির আশঙ্কা রয়েছে। যেমন: উঁচু স্থান থেকে পড়ে যাওয়া, বেঢপভাবে পড়ে যাওয়া, অগভীর পুলে ডাইভ দেয়া ও আঘাত পাওয়া, চলন্ত গাড়ি থেকে পড়ে যাওয়া, ঘোড়ার পিঠ থেকে পড়ে যাওয়া, মোটরগাড়ি দুর্ঘটনা, পিঠে ভারী কিছু পড়া, মাথায় বা মুখে আঘাত পাওয়া, 

 

চিকিৎসকদের মতে, স্পাইনাল ইনজুরি যেভাবে বোঝা যাবে। কশেরুকা ক্ষতিগ্রস্ত হলে, ঘাড়ে বা পিঠে ব্যথা করলে, মেরুদণ্ডের স্বাভাবিক আকৃতিতে পরিবর্তন ঘটলে, মেরুদণ্ডের ওপরের ত্বকে ব্যথা অনুভূত হওয়া বা ত্বকে কালশিরা পড়লে। 

 

কারো স্পাইনাল ইনজুরি হলে যা করতে হবেঃ 
 

 রোগীকে আশ্বস্ত করতে হবে। নড়াচড়া করা যাবে না। অ্যাম্বুলেন্স ডাকার ব্যবস্থা করতে হবে। রোগীকে মাথা বা ঘাড় নাড়াতে নিষেধ করতে হবে। যাতে পুনরায় ক্ষতি না হতে পারে। রোগীর মাথার পেছনে গিয়ে হাঁটু গেড়ে ঝুঁকে বসতে হবে। কনুই দুটো মাটিতে রাখতে হবে। রোগীর মাথার দুই পাশে হাত নিয়ে ধরতে হবে। কান দুটো খোলা রাখতে হবে। রোগীর মাথা এমনভাবে ধরতে হবে, যাতে তার মাথা, ঘাড় ও মেরুদণ্ড সোজাসুজি লাইনে থাকে।
 

জরুরি সাহায্য না আসা পর্যন্ত রোগীর মাথাকে সাপোর্ট দিয়ে রাখতে হবে। যদি রোগী সাড়া না দেয় তাহলে রোগীর শ্বাসপথ খোলা রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে রোগীর মুখে আঙুলের ডগা ঢুকিয়ে আস্তে আস্তে হাঁ করাতে হবে। এ সময় রোগীর ঘাড় যেন বেঁকে না যায়। এরপর শ্বাস নিচ্ছে কি না পরীক্ষা করতে হবে। যদি শ্বাস নেয় তাহলে রোগীর মাথাকে সাপোর্ট দেয়া অব্যাহত রাখতে হবে। 
রোগী যদি শ্বাস না নেয় তাহলে রোগীকে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস দিতে হবে। অ্যাম্বুলেন্স না আসা পর্যন্ত রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাস হৃদস্পন্দন ও প্রতিক্রিয়ার মাত্রা পরীক্ষা করতে হবে। 


আরও দেখুন: