৯০ শতাংশ মৃগী রোগী ওষুধে ভালো হয় : বিশেষজ্ঞদের অভিমত
মৃগী রোগের সচেতনতায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে র্যালি
সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে ৯০ শতাংশ মৃগী রোগীকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। এ কারণে বৈদ্য-কবিরাজের অপচিকিৎসা না নিয়ে দ্রুত সরকারি হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব মৃগী রোগ দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের নিউরোলজি বিভাগে আয়োজিত সেমিনারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা এ কথা বলেন।
চমেকের নিউ কনফারেন্স হলে নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. হাসানুজ্জামান বলেন, অন্য সব রোগের মতো সঠিক চিকিৎসায় মৃগী রোগীকেও সম্পূর্ণ সুস্থ করে তোলা সম্ভব। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে মৃগীরোগের উপসর্গ অন্য কোনো রোগের উপসর্গ হিসেবেও দেখা দিতে পারে। এ জন্য কারও মৃগী রোগের উপসর্গ থাকলে বৈদ্য কিংবা কবিরাজের অপচিকিৎসা না নিয়ে দ্রুত হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, রোগের ইতিহাস ও খিঁচুনির ভিডিও দেখে- কোনো রকম দামি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই মৃগী রোগ নির্ণয় সম্ভব। ৯০ শতাংশ রোগী ওষুধ খেয়ে ভালো থাকে। ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে ২ থেকে ৫ বছর ওষুধ খেয়ে রোগমুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে। এছাড়া মৃগীরোগে আক্রান্ত নারীরা গর্ভধারণের আগে ও গর্ভকালীন সময়ে নিউরোলজি বিশেষজ্ঞের পরামর্শে নিয়মিত ওষুধ সেবন করে সুস্থ থাকতে পারবে এবং সুস্থ বাচ্চা জন্ম দিতে পারবে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের রেজিস্ট্রার ডা. পীযুষ মজুমদার।
সেমিনারে চমেকের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার, চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান, উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. হাফিজুল ইসলাম, চমেক শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মনোয়ার উল হক শামীম, নিউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মুহিতুল ইসলাম, ডা. প্রদীপ কুমার কায়স্থগীর, ডা. পঞ্চানন দাশ, ডা. শিউলি মজুমদার, সহকারী অধ্যাপক ডা. মাহবুবুল আলম খন্দকার, ডা. মসিহুজ্জামান আলফা, ডা. তৌহিদুর রহমান, ডা. মো. আনোয়ারুল কিবরিয়া, ডা. জামান আহম্মদ, ডা. মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দীন, কনসালটেন্ট ডা. সীমান্ত ওয়াদ্দাদার-সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনার শেষে মৃগী রোগের সচেতনতায় র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি চমেক হাসপাতালের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।