স্বাচিপের সম্মেলন ঘিরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উৎসব
সারা দেশে স্বাচিপের ১৫ হাজার সদস্য রয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তারা সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন
আওয়ামীপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) পঞ্চম জাতীয় সম্মেলন ঘিরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও তার আশপাশের এলাকায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
প্রায় সাত বছর পর শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) স্বাচিপের সম্মেলন হতে যাচ্ছে। সংগঠনের নতুন সভাপতি ও মহাসচিব কে হচ্ছেন, তা নিয়ে সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে আলোচনা চলছে। সম্মেলন প্রধান অতিথি হিসেবে বিকেলে বক্তব্য দিবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সারা দেশে স্বাচিপের ১৫ হাজার সদস্য রয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তারা সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন। সকাল থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ক্যাম্পাসে চিকিৎসকদের ভিড় দেখা গেছে। তাদের মাথা নানা রঙের ক্যাপ।
সংগঠনের প্রতিটি উপদল ভিন্ন ভিন্ন রঙের ক্যাপ পরে নিজেদের সাংগঠনিক শক্তির জানান দিচ্ছে। চিকিৎসক ছাড়াও স্বাস্থ্য পেশায় জড়িত অনেকে সম্মেলনে এসেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ব্যানার-ফেস্টুন হাতে দলে দলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসছেন চিকিৎসকরা। তাদের স্লোগানে মুখর পুরো সম্মেলনস্থল।
রংপুর ডেন্টাল কলেজের চিকিৎসক মো. আসাদুজ্জামান জানান, সম্মেলনে যোগ দিতে পেরে তারা আনন্দিত। নতুন নেতৃত্বের হাত ধরে দেশের চিকিৎসা খাত আরও এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
স্বাচিপের সবশেষ সম্মেলন হয় ২০১৫ সালের নভেম্বরে। তখন এম ইকবাল আর্সলান সভাপতি ও এমএ আজিজ মহাসচিব হন। এখন চিকিৎসকেরা সংগঠনের নতুন নেতৃত্ব খুঁজছেন। কিন্তু কে সভাপতি ও মহাসচিব হবেন, তা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছেন না।
সংগঠনের নতুন নেতৃত্বের বিষয়ে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক মো. শারফুদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, তার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক বা বর্তমান উপাচার্যদের মধ্য থেকে একজনকে সভাপতি করা হতে পারে। তিনি নিজে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি হতে চান। তবে নেত্রী স্বাচিপের দায়িত্ব দিলে, তা মাথা পেতে মেনে নিবেন বলে জানান।
সন্ধ্যার মধ্যেই নেতৃত্ব চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সম্মেলনের প্রথম পর্বের পর কাউন্সিল অধিবেশন হবে। এতে প্রায় আড়াইশ’ প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন। সেখানে অন্তত নতুন সভাপতি ও মহাসচিবের নাম ঘোষণার সম্ভাবনা আছে। এরপর আগামী কয়েক দিনের মধ্যে পুরো কমিটি ঘোষণা হতে পারে।