এওফগ ফেলোশীপ পেলেন টি এ চৌধুরী, ওজিএসবির সংবর্ধনা
বুধবার (২২ জুন) রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাঁকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।
এওফগ (AOFOG) ফেলোশীপ এওয়ার্ড প্রাপ্তি উপলক্ষে অধ্যাপক টি এ চৌধুরী - কে সংবর্ধনা দিয়েছে অবসটেট্রিক্যাল এন্ড গাইনোকলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি)।
বুধবার (২২ জুন) রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাঁকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট্য নাট্যব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর।
এই প্রথম কোনো বাংলাদেশী চিকিৎসক এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরের ৫০ টি দেশ নিয়ে গড়ে ওঠা সংস্থা দ্যা এশিয়া এন্ড ওশেনিয়া ফেডারেশন অব অবসটেট্রিক্যাল এন্ড গাইনোকলজির মূল্যবান সম্মাননা অর্জন করলেন। সংস্থাটি বিভিন্ন দেশের ৪০ জন প্রখ্যাত চিকিৎসককে ফেলোশীপ দিয়ে থাকে। ৪০ জনের ভিতর এই প্রথম কোনো বাংলাদেশী চিকিৎসক স্থান করে নিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, অধ্যাপক টিএ চৌধুরীর সাথে আমার পরিচয় অনেক আগে থেকেই। আমাদের দু সন্তান তাঁর হাতেই জন্ম নিয়েছে। আমি নিজে চিকিৎসক না হলেও স্বল্পভাষী এই মানুষটি থেকে আমিও অনেক কিছু শিখেছি।
এসময় মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা একে আজাদ খান বলেন, টি এ চৌধুরীর মত একজন অসাধারণ মেধা সম্পন্ন চিকিৎসককে বাংলাদেশ সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারেনি, এই আফসোস আমার থেকেই যাবে। তিনি জেনারেশনের পর জেনারেশন দেশের উচ্চ পর্যায়ের চিকিৎসক তৈরি করেছেন। এই দেশের আরো অনেক কিছু পাওয়ার আছে তাঁর থেকে।
এর আগে অনুষ্ঠানে টি এ চৌধুরীর একটি সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত উপস্থাপন করা হয়। এরপর অধ্যাপকের স্মৃতি চারণ করেন তাঁরই ছাত্রী ওজিএসবির সভাপতি অধ্যাপক ফেরদৌসি বেগম, ডা কুহিনূর আক্তার, একুশে পদক জয়ী চিকিৎসক সায়েবা আক্তার, ডা গুলশান আরা, অধ্যাপক ফারহানা দেওয়ানসহ ওজিএসবির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডা এম কিউ কে তালুকদার, ডা কাজী দীন মোহাম্মদ, অধ্যাপক ডা মোঃ শাহিদুল্লাহ, অধ্যাপক ডা নাজমুন নাহারসহ প্রমুখ।
স্বাধীনতা পদক জয়ী এই অধ্যাপক ১৯৬০ ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেন এবং প্রথম স্থান অধিকার করেন। এরপর তিনি লাহোরের কিং এডওয়ার্ড কলেজে ভর্তি হন। প্রথম বর্ষ পড়ার পর সরকারি বৃত্তি নিয়ে ইংল্যান্ডের রয়েল কলেজ অব সার্জনস অব এডিনবার্গ যান এবং সেখানে থেকে এফআরসিএস সম্পন্ন করেন।
ছাত্র জীবনে চৌধুরী এমবিবিএস পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করায় এটিসিও গোল্ড মেডেল পেয়েছিলেন। নেপালে স্নাতকোত্তর চিকিৎসক বৃদ্ধিতে কাজ করায় নেপালের রাজা তাকে সে দেশের সর্বোচ্চ পুরস্কার গোর্খা দক্ষিণ বাহু গোল্ড মেডেল প্রদান করে। ২০১৭ সালে চিকিৎসা শাস্ত্রের গাইনোকোলজী এবং অবসটেট্রিক্সের অন্যান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করে।