বেশিরভাগ অটিজম শনাক্তের বাইরে
প্রতিবন্ধী শনাক্ত করতে ২৮ ধরনের তথ্য দিতে হয়।
বাংলাদেশে বেশিরভাগ অটিজম রোগীই থেকে যাচ্ছে শনাক্তের বাইরে। পারিবারিক ও সামাজিকভাবে গুটিয়ে রাখা, আর্থিক অসংগতি, অসচেতনতা ও লজ্জাকেই এর প্রধান কারন বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রতিবন্ধী শনাক্ত করতে ২৮ ধরনের তথ্য দিতে হয়। এরপর সেটিকে যাচাই-বাছাই করে চিকিৎসক যখন সার্টিফিকেট দেন তখন তার নাম এন্ট্রি হয় এবং তাকে একটি কার্ড দেওয়া হয়। ওই ব্যক্তিকে শনাক্ত করে একটি আইডি নাম্বারও দেওয়া হয়। গ্রামে বা বিভিন্ন জায়গায় বসবাসরত সবাইকে তো সেভাবে চিহ্নিত করা যায়নি। যাদের কেন্দ্রে নিয়ে আসা হচ্ছে তাদের যাচাই-বাছাই করে শনাক্ত করা যাচ্ছে। বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নাকি অটিজম সেটা চিহ্নিত করাও আরেক সমস্যা। এগুলো যথাযথ চিহ্নিত করতে না পারলে চিকিৎসায় ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমান ২৫ লাখ ২২ হাজার ৯২৬ জন প্রতিবন্ধী রয়েছেন। যাদের মধ্যে ৬৬ হাজার ২১৯ জন রয়েছেন অটিজম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন। এরমধ্যে পুরুষ ৪০ হাজার ৫৩৭ জন, নারী ২৫ হাজার ৬১৯ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ৬৩ জন অটিজম রয়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অটিজম বা অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার স্নায়ুবিকাশজনিত সমস্যা। মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের এতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় চারগুণ বেশি। সাধারণত শিশুর বয়স তিন বছর হওয়ার আগেই (অধিকাংশ ক্ষেত্রে ১৮ মাস থেকে ৩৮ মাস বয়সের মধ্যেই) অটিজমের লক্ষণ প্রকাশ পায়। ফলে ওই শিশুর সামাজিক সম্পর্ক স্থাপনে অসুবিধা হয়। এছাড়া আশেপাশের পরিবেশ ও ব্যক্তির সঙ্গে মৌলিক ও ইশারা-ইঙ্গিতের মাধ্যমে যোগাযোগে সমস্যা হয় এবং আচরণে পরিবর্তন দেখা দেয়।