বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ৮২ শতাংশই সিজারে প্রসব
৪ মার্চ ওজিএসবি’র ৩০ তম বৈজ্ঞানিক সম্মেলন
বাংলাদেশে প্রতি বছর ৩২ লাখ শিশু জন্মগ্রহণ করে। মোট সিজারের ৮২ শতাংশই হয় বেসরকারি মেডিকেল হাসপাতালগুলোতে।
৪ মার্চ (শুক্রবার) অবস্ট্রেটিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি)’র ৩০ তম বৈজ্ঞানিক সম্মেলন ও কর্মশালায় সংগঠনটির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা রওশন আরা এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলগুলোতে এখনো ৫০ শতাংশ ডেলিভারি বাসা বাড়িতেই হচ্ছে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে মাত্র ১৪ শতাংশ গর্ভবতী আসেন ।
বাংলাদেশে সিজার ডেলিভারির বিপরীতে নরমাল ডেলিভারি কমে যাচ্ছে আশঙ্কাজনক হারে। এর পিছনে চিকিৎসকদের নিজেদের নিরাপত্তা ঝুঁকি ও রোগীদের আতংককে প্রধান কারণ হিসেবে মনে করছেন সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক ডা. গুলশান আরা।
তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই সিজারের বিকল্প হতে পারে এসিস্টেন্ট ভ্যাজাইনাল ডেলিবারি। নরমাল ডেলিভারির একটি বিশেষ পদ্ধতি হল এসিস্টেন্ট ভ্যাজাইনাল ডেলিবারি, যে পদ্ধতিতে ফরসেপ নামক একটি যন্ত্র বাচ্চা প্রসবে ব্যবহার করা হয়। বিশেষ বিশেষ পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা হয় এই পদ্ধতি ।
ডা. গুলশান আরা মনে করেন সব ধরণের হাসপাতালে এই ব্যবস্থা থাকলেও প্রশিক্ষণ ও মনিটরিং এর অভাবে দেওয়া হচ্ছে না এই সেবা।
এছাড়া নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেও অনেক চিকিতসকই সিজার বেছে নেন। নরমাল ডেলিভারি ও এসিস্টেন্ট ভ্যাজাইনাল ডেলিবারিকে উৎসাহিত করতে এবং চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে নিতে হবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।
ইতোমধ্যে বিলগেটস ও মিলিন্ডা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ওজিএসবির সহযোগীতায় ১৩টি হাসপাতালে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চলছে। যার ফলে সার্ভিস হোল্ডাররা অনেক দক্ষতা অর্জন করতে পারবে। এর মাধ্যমে ভ্যাজাইনাল ডেলিভারি অনেকাংশে বাড়তে বলে মনে করেন তিনি।