নানা আয়োজনে দেশে পালিত হচ্ছে মৃগীরোগ দিবস
নানা আয়োজনে দেশে পালিত হচ্ছে মৃগীরোগ দিবস
আজ সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সারা বিশ্বের মত বাংলাদেশেও বিভিন্ন স্থানে পালিত হচ্ছে বিশ্ব এপিলেপসি বা মৃগীরোগ দিবস। প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সোমবার এ রোগের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে দিবস পালন করা হয়। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য— ‘মৃগী রোগীদের জন্য বাড়িয়ে দেয়, ভালোবাসার হাত’।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সস ও হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সম্মিলিত মেডিকেল হাসপাতাল (সিএমএইচ), চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক), রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ, সিলেট, এনাম মেডিকেল কলেজে দিবসটি উপলক্ষে বৈজ্ঞানিক সেমিনার ও সচেতনতা র্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এছাড়াও বেসরকারি হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগে এ দিবসটি পালিত হয়।
সকাল ৮ টায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সস ও হাসপাতালে অধ্যাপক বদরুল আলমের নেতৃত্বে র্যালির মধ্য দিয়ে এ দিবস পালন শুরু হয়। র্যালিতে শতাধিক চিকিৎসক অংশগ্রহণ করেন। পরে বৈজ্ঞানিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, সাধারণত মৃগী রোগ স্নায়ুতন্ত্রের একটি জটিলতা। এ রোগে ৪০টির বেশি নিউরোলজিক্যাল লক্ষণের মধ্যে খুব কমন হলো খিঁচুনি। আমাদের মস্তিষ্কের কোষগুলো পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে, যার ফলে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সচল থাকে। কিন্তু কোনো কারণে মস্তিষ্কের স্নায়ুতন্ত্রের উদ্দীপক ও নিবৃত্তিকারক অংশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গেলে মৃগী রোগের লক্ষণ দেখা দেয়।
মৃগীরোগ প্রতিরোধযোগ্য ও চিকিৎসাযোগ্য একটি অসুখ। যদিও আমাদের সমাজে রোগটি নিয়ে নানা বদ্ধমূল ধারণা রয়েছে। ফলে টোটকা চিকিৎসা করাতে গিয়ে সঠিকভাবে রোগটি নির্ণয় ও চিকিৎসা হয় না। কিংবা ভুল চিকিৎসার কারণে জটিলতা বেড়ে যায়। ফলে মৃগীরোগে বিভ্রান্তি না হয়ে, সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা।