এইচপিভি ভ্যাকসিনে জরায়ুমুখ ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে ৮৭ শতাংশ
যুক্তরাজ্যের ক্যান্সার গবেষণা এবং সচেতনতাবিষয়ক দাতব্য প্রতিষ্ঠান ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে পরিচালিত গবেষণায় এমন ফলাফল পাওয়া গেছে।
হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস বা এইচপিভি’র ভ্যাকসিন জরায়ুমুখ ক্যান্সারের (সার্ভিক্যাল ক্যান্সার) ঝুঁকি প্রায় ৮৭ শতাংশ কমে।
যুক্তরাজ্যের ক্যান্সার গবেষণা এবং সচেতনতাবিষয়ক দাতব্য প্রতিষ্ঠান ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে পরিচালিত গবেষণায় এমন ফলাফল পাওয়া গেছে।
গবেষণার এই ফলকে ‘ঐতিহাসিক’ দাবি করে ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে বলেছে, এই ভ্যাকসিন জীবন বাঁচাচ্ছে।
ব্রিটিশ বিজ্ঞানীদের এই গবেষণার ফল বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী ল্যানসেটে প্রকাশিত হয়েছে।
প্রায় সব ধরনের সার্ভিক্যাল ক্যান্সার বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস থেকে সৃষ্ট। টিকাদানের মাধ্যমে এই রোগ প্রায় নির্মূল হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাসের ওপর ভিত্তি করে ১১ থেকে ১৩ বছর বয়সী মেয়ে শিশুদের এইচপিভি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল।
ইংল্যান্ডে ২০০৮ সালে মেয়ে শিশুদের জন্য এইচপিভি ভ্যাকসিনের প্রয়োগ শুরু হওয়ার পর কী ঘটেছে সেটিই তুলে এনেছেন গবেষকরা।
বর্তমানে ওই শিশুদের বয়স ২০-এর ঘরে। গবেষণায় দেখা যায়, ভ্যাকসিনের ফলে প্রাক-ক্যান্সারের বৃদ্ধি এবং সার্ভিক্যাল ক্যান্সার প্রায় ৮৭ শতাংশ কমে যায়।
গবেষকদের এইচপিভি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সামগ্রিকভাবে প্রায় সাড়ে ৪০০ ক্যান্সার এবং ১৭ হাজার ২০০ প্রাক-ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে।
কিং কলেজ লন্ডনের গবেষক অধ্যাপক পিটার সাসিয়েনি বলেছেন, ‘টিকার এই প্রভাব বিশাল।’