টুইন প্রেগনেন্সিতে খাবার পছন্দে মায়ের করণীয়
গর্ভে একটি সন্তান থাকলে যে পরিমাণ ক্যালরি প্রয়োজন, যমজের ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ বেশি লাগে
টুইন প্রেগনেন্সিতে খাবার-দাবারের বিষয়ে আমরা সব সময় প্রোটিনের ওপর জোর দেই। প্রেগনেন্সিজনিত এক ধরনের ডায়াবেটিস যমজ শিশুর মায়ের হতে পারে। সেজন্য আমরা শর্করার ওপর তেমন একটা জোর দেই না।
পরীক্ষা-নিরীক্ষায় যমজ শিশু জানার পর মায়ের যে পরিমাণ ক্যালরি দরকার, তার জন্য প্রোটিনই আদর্শ খাবার। আর প্রোটিন পেতে মাছ, মাংস, ডিম ও ডাল বেশি পরিমাণে খেতে হবে। কারণ এসব খাবারে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে।
একই সাথে এসব খাবার থেকে ক্যালরিও আসবে। এ ছাড়া ফলমূল ও শাকসবজি একটু বেশি করে খেতে হবে। তাহলে প্রচুর ক্যালসিয়াম পাওয়া যাবে।
আরেকটি জিনিস আমরা বলতে চাই, অনেক মা জিজ্ঞাসা করেন যমজ যেহেতু দ্বিগুণ খাবার খাব কি না? আসলে একজন মানুষের পক্ষে দ্বিগুণ খাওয়া সম্ভব না। তবে আমরা পরিমাণে বেশি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকি।
গর্ভে একটি সন্তান থাকলে যে পরিমাণ ক্যালরি প্রয়োজন, যমজের ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ বেশি লাগে। ফলে মাকে দ্বিগুণ খাওয়ার দরকার নেই। কিন্তু পরিমাণে অল্প করে বারবার খেতে হবে। আমরা সাধারণত দুই ঘণ্টা পরপর খাবার খেতে বলে থাকি।
যমজ সন্তান গর্ভে থাকলে বেশি করে বিশ্রাম নিতে হতে। বেশি বেশি খাবার খেতে হবে। আর আগে থেকে প্রসব পরিকল্পনা করে রাখতে হবে। তাহলে শেষ মুহূর্তে প্রসূতির কষ্ট লাঘব হবে। বিষয়গুলো গর্ভবতীর সাথে তার পরিবারের সদস্যদেরও বুঝতে হবে।
লেখক: অধ্যাপক ডা. রাতু রোমানা
একাডেমিক পরিচালক, ইস্ট ওয়েস্ট মেডিকেল কলেজ
সাবেক অধ্যাপক, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ